প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২২, ১৪:০৮
ওয়াসার এমডির ব্যাংক হিসাব তলব
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের সব ধরনের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ-বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বুধবার (২৪ আগস্ট) তার হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, চিঠিতে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাকসিম এ খানের সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের জমা ও উত্তোলনের তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
গত ১৭ আগস্ট ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের মোট বেতন, উৎসাহ ভাতা, আনুষঙ্গিক সুবিধা হিসেবে যত টাকা নিয়েছেন তার হিসাব তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে এ হিসাব আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে ওয়াসা বোর্ডকে।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ একটি রিটের শুনানিতে এ আদেশ দেন।
কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর করা এ রিটের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, গত ১৩ বছরে কত টাকা বেতন, বোনাস এবং অন্যান্য সুবিধাদি দেওয়া হয়েছে তার হিসাব আগামী ৬০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে জমা করতে বলেছেন আদালত। ঢাকা ওয়াসার এমডিকে অপসারণে নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাকে অপসারণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে এ রুল জারি করেন আদালত।
তাকসিম এ খান ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে রয়েছেন। তার সময়ে বেশ কয়েকটি বিষয়ে তিনি আলোচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া তাকসিমসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ১৩২ কোটি ৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন ওয়াসার সাবেক কর্মচারী শাহাব উদ্দিন সরকার। অবশ্য আদালত সেই মামলার আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছেন। অভিযুক্তরা সরকারি কর্মচারী হওয়ায় এ অভিযোগে মামলা ও তদন্ত করা দুদকের এখতিয়ার বলে উল্লেখ করেছেন আদালত।
অভিযুক্তরা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের তহবিল থেকে ওই টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে সমিতির বর্তমান সম্পাদক শাহাব উদ্দিন এ অভিযোগ আনেন।
এ বিষয়ে ওয়াসার এমডি বলেছেন, চাকরিচ্যুত করায় শাহাব উদ্দিন ক্ষুব্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
তাকসিম এ খান ষষ্ঠ দফায় ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। এ দফায় তিন বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয় তার। সর্বশেষ তার মাসিক বেতন পৌনে ২ লাখ টাকা বাড়ানোর পর ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা হয়েছে। তার সময়কাল ১৩ বছরের মধ্যে পানির দাম বাড়ানো হয়েছে ১৪ বার।