টিটিই বরখাস্ত হওয়ার সঙ্গে আত্মীয় পরিচয়দানের সম্পর্ক নেই : রেলমন্ত্রী

রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণ করা এবং তাদেরকে জরিমানা করার কারণে রেলের একজন টিটিইকে (রেল টিকিট পরীক্ষক) সাময়িক বরখাস্ত করার ঘটনা ঘটেছে।

তবে টিটিই বরখাস্ত হওয়ার সঙ্গে তার আত্মীয় পরিচয়দানের কোনো সম্পর্ক নেই বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম।

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত জানি না এরা কারা। আমার কাছে কোনো ইনফরমেশন নাই এরা কারা। ফলে কেউ পরিচয় দিয়েছে কী দেয়নি সেটা আমি জানি না।’

তিনি বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে ‘অসদাচরণের’ লিখিত অভিযোগ পেয়ে ওই রেলকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিবিসিকে বলেছেন, বাংলাদেশ রেলওয়েতে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন বরখাস্ত হওয়া টিটিইর বিরুদ্ধে যাত্রীর সঙ্গে 'অসদাচরণ' করা হয়েছে এমন লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষাপটে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে বিনা টিকিটে ভ্রমণ করা কাউকে জরিমানা করার অপরাধে কাউকে 'সাসপেন্ড' করা হয়েছে, বিষয়টি তেমন নয়।

বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। টিটিইর কোনো গাফিলতি আছে কি-না সেটাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, যদি প্রমাণিত হয় যে তার (টিটিই) দোষ ছিল না, তাহলে তার শাস্তি হবে না।’

বুধবার রাতে আন্তঃনগর ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ট্রেনে তিনজন যাত্রী বিনা টিকিটে এসি কেবিনে ভ্রমণ করছিলেন।

টিটিই শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, টিকিট পরীক্ষার সময় বিনা টিকিটে ভ্রমণকারী ওই তিনজন ব্যক্তি নিজেদের 'রেলপথ মন্ত্রীর আত্মীয়' বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। তারা বিনা টিকিটে এসি কেবিনে ভ্রমণ করছিলেন। ‘রেলপথ মন্ত্রীর আত্মীয়’ জানা সত্ত্বেও টিকিট পরীক্ষক তাদের জরিমানা করে শোভন শ্রেণির টিকিট দেন এবং সেখানে যেতে বলেন।

পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

ট্রেনটি খুলনা থেকে ঈশ্বরদী হয়ে ঢাকা আসছিল। বরখাস্ত হওয়া টিটিই রেলওয়ে জংশন ঈশ্বরদীর টিটিই হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে সংযুক্ত।

সূত্র: দেশ রূপান্তর