প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২২, ০৮:৫৩
ডলার পাওয়ার আশায় ব্যাংক কর্মকর্তা খোয়ালেন ১০ লাখ টাকা
ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে উপার্জিত ভার্চুয়াল মানি বিক্রির মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে এক ব্যাংক কর্মকর্তার কাছ থেকে ১০ লাখ ১৭ হাজার টাকা আত্মসাৎকারী একটি প্রতারক চক্রের আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। গ্রেফতার ব্যক্তির নাম মো. ইদ্রিস আলী। এসময় তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ও একটি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।
গত রাতে গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জনৈক মো. গোলাম বারিউল মজিব একজন বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা। অনলাইনে জনৈক ব্যক্তির ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডির সঙ্গে কাইয়ুম শেখ ও দিপ্রো দাস নামক ফেসবুক আইডির ব্যক্তিদের সঙ্গে ব্যাংক কর্মকর্তার পরিচয় হয়। কাইয়ুম শেখ ব্যাংক কর্মকর্তার ফেসবুক আইডিকে একটি ফ্রিল্যান্সার নামক ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে অ্যাড দেয়। এরপর দিপ্রো দাস ওই ব্যক্তিকে জানায় ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে একটি বিদেশি কোম্পানির থেকে উপার্জিত মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক তার পাওনা আছে। যেহেতু জনৈক ব্যক্তি একজন ব্যাংক কর্মকর্তা তাই তার কাছে ভার্চুয়াল মানি দেশে আনার পদ্ধতি জানতে চায় দিপ্রো দাস। দিপ্রো দাস ব্যাংক কর্মকর্তাকে জানায় কোম্পানিটি পাওনা অর্থ ডলারে পরিশোধ করতে চায়, কিন্তু তা অনেক সময় সাপেক্ষ।
তখন দিপ্রো দাস ব্যাংক কর্মকর্তার কাছে যদি নগদ টাকা থাকে তা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং পেমেন্ট পেলে সে টাকা তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ডে দিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেয়। পরবর্তীতে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা ১০ লাখ ১৭ হাজার টাকা দিপ্রো দাসের অ্যাকাউন্টের পাঠায়। এরপর ব্যাংক কর্মকর্তাকে ফ্রিল্যান্সার ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ থেকে রিমুভ করে দেয় এবং ব্লক করে দেওয়া হয়। ব্যাংক কর্মকর্তা প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন।
এডিসি মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, অনলাইন মনিটরিং ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তার এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গোলাম মাহবুব মোর্শেদ নামে একজনকে শনাক্ত করা হয়। এরপর গত ৭ জুলাই ঢাকার সাভার থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোর্শেদকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মোর্শেদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অনলাইন মনিটরিং ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তার এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইদ্রিস আলী নামে আরও একজনকে শনাক্ত করা হয়। এরপর ২৮ জুলাই খুলনার বটিয়াঘাটা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ইদ্রিসকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ইদ্রিস আলীসহ এ মামলায় মোট দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।