প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২২, ১১:৪৪
বিদ্যুৎ থাকে না ১০-১২ ঘণ্টা, গাভী নিয়ে দুর্ভোগে খামারিরা
ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাকাল পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার গো-খামারিরা। দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছাড়া থাকছেন এলাকাবাসী। এতে প্রচণ্ড গরমে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষসহ গো-খামারিরা। উপজেলার দুধ উৎপাদনকারী সব ধরনের গাভী উন্নত জাতের। এসব গাভী ঠাণ্ডা পরিবেশে থেকে অভ্যস্ত। গরমে গাভীগুলো হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিতে রয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় গরুর খামার রয়েছে প্রায় তিন হাজার। এ ছাড়া এই বছর কুরবানি ঈদের জন্য ষাঁড় গরু লালন-পালন করা হয়েছে ১৭ হাজার। এ ছাড়া দুধ উৎপাদনের জন্য রয়েছে কয়েক হাজার গরু। দুধ উৎপাদনের জন্য রয়েছে হলেস্টিয়ান, ফ্রিজিয়ান, জার্সি ছাড়াও বিভিন্ন ক্রসজাতের গাভী। এসব গাভী গরমে হিট স্ট্রোক করার আশঙ্কা রয়েছে। বিদ্যুতের কারণে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে এসব খামারি। বিকল্প হিসেবে তারা চেষ্টা করছে চাপকলের পানি গায়ে দিয়ে গাভীর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার।
উপজেলার হারোপাড়া গ্রামের গরুর খামারি মুজাহিদুল ইসলাম জানান, তার খামারে এ বছর কুরবানির গরু রয়েছে ৯৫টি। বিদ্যুতের সমস্যার কারণে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে তার এসব গরু। যে কোনো সময় অতিরিক্ত গরমে স্ট্রোক করার সম্ভাবনা রয়েছে। ৯৫টি গরু গোসল করাতে লাগে প্রায় এক ঘণ্টা। খাওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় প্রচুর পানি। বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান জরুরি।
পল্লী বিদ্যুতের ভাঙ্গুড়া জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোট গ্রামের সংখ্যা ১১৫টি। অষ্টমনিষা ও রোকনপুর উপকেন্দ্র থেকে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। দুই কেন্দ্রের অষ্টমনিষায় প্রতিদিন চাহিদা ৫ মেগাওয়াটের বিপরীতে বরাদ্দ ১.৫ মেগাওয়াট। অন্যদিকে রোকনপুর উপকেন্দ্রে ৮ মেগাওয়াট চাহিদায় পাওয়া যাচ্ছে ৩ মেগাওয়াট। এ ছাড়া পৌর সদরের বেশিক্ষণ বিদ্যুৎ রাখায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে। সব মিলিয়ে গ্রামে এখন দিন ৯-১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে।
ভাঙ্গুড়া জোনাল অফিসের এজিএম মনিরুল ইসলাম বলেন, সারা দেশেই বিদ্যুৎ বিপর্যয় চলছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পর্যাপ্ত জ্বালানি না পাওয়ায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। সরকার চেষ্টা করছে বিষয়টি সমাধানের।
সূত্র: যুগান্তর