সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২২, ১১:৩৬

ঈদে ভোগান্তি ছাড়াই পদ্মা পাড়ির আশা

ঈদে ভোগান্তি ছাড়াই পদ্মা পাড়ির আশা
অনলাইন ডেস্ক

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সুফল পেতে শুরু করেছেন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহারকারী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা। দীর্ঘ সিরিয়ালে আটকে না থেকে সরাসরি এসে ফেরিতে উঠছে যানবাহন। ফলে ভোগান্তি ও অপেক্ষা ছাড়াই ঈদে বাড়ি ফেরার স্বপ্ন দেখছে ঘরমুখো মানুষ।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামাল দিতে এবার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে চলাচল করবে ২১টি ফেরি।

বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে তাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। ঈদের চাপ শুরুর আগেই ২১টি ফেরি চলাচল করবে। প্রয়োজন হলে আরও ১টি ফেরি বাড়ানো হবে। এখন যেহেতু চাপ একটু কম, সে কারণে সামান্য ত্রুটিগুলো মেরামত করে নিচ্ছে ফেরিগুলো।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবহার করে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন নদী পারাপার হয়। ঈদ বা উৎসবে যানবাহনের সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। তবে ২৫ জুন দক্ষিণবঙ্গের আরেক নৌপথ মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর পাল্টে যায় দৌলতদিয়া ঘাটের চিত্র। আগে দৌলতদিয়ার সড়কে ফেরির অপেক্ষায় থাকতো যানবাহন। আর এখন যানবাহনের অপেক্ষায় থাকে ফেরি।

এছাড়া দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচলও স্বাভাবিক থাকবে। যানবাহন কমে যাওয়ায় লঞ্চে আগের মতো যাত্রীদের চাপ নেই। ফলে এবারের ঈদযাত্রায় ভোগান্তি ছাড়াই ঘরমুখো যাত্রীরা বাড়ি ফিরবে। আবার ঈদ শেষে অপেক্ষা ছাড়াই ফিরবে কর্মস্থলগামী মানুষ।

স্থানীয় মজনু মোল্লা বলেন, ঘাটের যে পরিস্থিতি তাতে এবার ঈদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হবে না যানবাহনগুলোকে। সরাসরি আসা-যাওয়া করতে পারবে।

যাত্রী নুরুল ইসলাম, ফরিদুর রহমান ও রাসেল বলেন, এখন যেহেতু ভোগান্তি নেই, তাহলে ঈদেও ভোগান্তি হবে না। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের কারণে দৌলতদিয়ার ভোগান্তি দূর হয়েছে। ঈদযাত্রাও ভালো হবে বলে তারা আশাবাদী।

ট্রাকচালক ইমরান আলী বলেন, আগে ৫ থেকে ২০ ঘণ্টাও দৌলতদিয়ায় ফেরির অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। তবে এখন আর কষ্ট করতে হচ্ছে না। দ্রুত ফেরির নাগাল পাচ্ছেন। পদ্মা সেতুর কারণে ট্রাকচালকদের খুব সুবিধা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকাগামী গরুর মালিক আলমগীর বলেন, গত বছর ঘণ্টার পর ঘণ্টা দৌলতদিয়ায় আটকে থেকেছেন। কিন্তু এবার সরাসরি এসে ফেরি পেয়েছেন। কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। সময় মত গরু হাটে তুলতে পারবেন।

এদিকে পদ্মার তীব্র স্রোতে ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। সেইসঙ্গে ঢাকামুখি কোরবানির পশুবাহী ট্রাকের চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়ায়। ফলে সড়কে কিছুটা সিরিয়াল তৈরি হচ্ছে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস ও পশুবাহী ট্রাক পারাপার করছে কর্তৃপক্ষ।

সূত্র: যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়