প্রকাশ : ২০ জুন ২০২২, ১০:৫৪
বানভাসির আর্তনাদে আকাশ ভারী
টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে আকস্মিক বন্যায় জনদুর্ভোগ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকটের পাশাপাশি স্যানিটেশন সমস্যা দেখা দিয়েছে। বয়স্ক, নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে। শহর-গ্রাম নির্বিশেষে মানুষের মধ্যে হাহাকার চলছে। না খেয়ে লাখ লাখ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন হয়ে পড়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় নলকূপ পানির নিচে চলে যাওয়ায় মানুষজন স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই বানের পানি পান করছেন।
দুর্ভোগের শিকার মানুষের একটি অংশ আশ্রয়কেন্দ্র ও নিরাপদ আশ্রয়ে ঠাঁই পেলেও পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্রের অভাবে অধিকাংশ মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে, আশ্রয়ের জন্য সর্বত্র হাহাকার দেখা দিয়েছে। কিছু এলাকায় স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে। তবে বন্যাদুর্গতদের দাবি-চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছেন না। সরকারিভাবে যে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এসব কারণে বন্যাদুর্গত এলাকায় বানভাসি মানুষের আর্তনাদে আকাশ ভারী হয়ে উঠেছে।
বন্যার পানি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়ায় পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে। আঞ্চলিক মহাসড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। পানিতে ফসলের মাঠ তলিয়ে গেছে, পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এদিকে সিলেটে বন্যা অপরিবর্তিত থাকলেও হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারে বন্যা বিস্তৃত হচ্ছে। অপরদিকে রাস্তা কাটায় সুনামগঞ্জ থেকে পানি নামছে। দুর্ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন সেনাপ্রধান।
মৌলভীবাজারের সাত উপজেলার প্রায় দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কুলাউড়া ও বড়লেখা পৌর শহরের বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি উঠেছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন। হবিগঞ্জে নতুন নতুন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ২১ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। টানা বর্ষণে রাঙামাটির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নেত্রকোনার বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসছে। কয়েকদিনের বন্যায় জেলার কলমাকান্দা-দুর্গাপুরে সাত শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, শেরপুর ও কুড়িগ্রামে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ সম্পর্কে ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
সিলেট : সিলেটের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও নতুন করে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় বন্যা বিস্তৃত হচ্ছে। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফার বন্যায় পানিবন্দি লোকজন রয়েছেন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়। চরম দুর্ভোগে রয়েছেন বন্যার্তরা। খাদ্য সংকটের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সমস্যায়। তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ডাকাত আতঙ্ক। শনিবার রাতভর সিলেট-সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতরা হামলা করেছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে। যদিও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এসবের কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন। পানিবন্দি লোকজনকে উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী, বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। আগের দিন সারা দেশের সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিলেটের ট্রেন যোগাযোগ রোববার থেকে স্বাভাবিক হয়েছে। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। সোমবার বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে আসছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। আগামীকাল মঙ্গলবার সিলেটের বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে আসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
বন্যাদুর্গত এলাকায় রয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এ বন্যায় তার নির্বাচনি এলাকা কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহম্মদ মোশাররফ হোসেনের বক্তব্য অনুসারে দুই জেলার অন্তত ৪০ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। এ বিপুলসংখ্যক দুর্গত মানুষের জন্য সরকারের পাঠানো ত্রাণের পরিমাণ অপ্রতুল। এ অবস্থায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
আশ্রয়কেন্দ্রে খাদ্য সংকট : সিলেটে বন্যার্তদের জন্য নগরীতে আশ্রয়কেন্দ্র খুললেও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সেভাবে দেখভাল করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। নগরীর মীরাবাজারে কিশোরী মোহন স্কুলের আশ্রয়কেন্দ্রে বেশ কয়েকজন বন্যাদুর্গত রয়েছেন। এখানেও খাদ্য সংকট রয়েছে। পানীয় জলের জন্য সিটি করপোরেশনের একটি পানির ট্যাংক রাখা হয়েছে। সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ ও পরিবহণ শাখা) রুহুল আলম জানান, ১৫০০ থেকে দুই হাজারের মতো মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এদের দেখাশোনার জন্য স্থানীয় কাউন্সিলরদের বলা হয়েছে। তারা শুকনো খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করছেন। কয়েকজন রান্না করা খাবারও দিচ্ছেন।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার সাদাত জানান, জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ রয়েছে। তবে বন্যাকবলিত এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় নৌকার সংকটে এসব ত্রাণ পাঠানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, জেলায় মোট ৩৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০০টি কেন্দ্রে আশ্রয়গ্রহণকারীদের তথ্য জেলা প্রশাসনের কাছে রয়েছে। সে হিসাবে ২০০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৬ হাজার ৮৪৪ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার আহসানুল আলাল জানান, শনিবার পর্যন্ত সিলেটে নগদ ৪২ লাখ টাকা, ৭ হাজার ৯০০ প্যাকেট শুকনা খাবার ও ৬১২ টন চাল দেওয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার পর্যন্ত নগদ ২০ লাখ টাকা ও ৫ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ১৫ হাজার মানুষকে রান্না করা খিচুড়ি খাওয়ানো হয়েছে।
মৌলভীবাজার : হাওড়ের পানি বৃদ্ধি পেয়ে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর, মনুমুখ, আখাইলকুড়া, কনকপুর, কামালপুর, চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের আংশিক প্লাবিত হয়েছে। কুলাউড়া সদরসহ ভূকশিমইল, ভাটেরা, জয়চণ্ডী, ব্রাহ্মণবাজার, কাদিপুর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জুড়ী উপজেলার ২৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের অধিকাংশ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জনসাধারণের চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
কুলাউড়া আঞ্চলিক বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ওসমান গণি বলেন, বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার ইসলামগঞ্জ ও জুড়ীর নার্সারি ফিডারের বিদ্যুৎ সরবরাহ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের তথ্যমতে, পুরো জেলায় ৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৫ হাজার মানুষ ও ১০ হাজার গবাদি পশু আশ্রয় নিয়েছে। পানিবন্দি মানুষের মধ্যে ২ হাজার প্যাকেট ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে এবং ৬০টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। এদিকে বড়লেখা পৌর এলাকাসহ ১০টি ইউনিয়ন, রাজনগরের ৪টি, শ্রীমঙ্গলের ৫টি এবং কমলগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
হবিগঞ্জ : কুশিয়ারা নদীর পানিতে নবীগঞ্জ ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার অনেক গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। রোববার সকাল পর্যন্ত বেশকিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষের জন্য নবীগঞ্জে ১৩টি, লাখাইয়ে ১৫টি এবং আজমিরীগঞ্জে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় দুই হাজারেরও বেশি মানুষ অবস্থান নিয়েছেন। দুর্গত মানুষকে সহায়তায় পর্যাপ্ত শুকনা খাবার, ওষুধ, মোমবাতি, দিয়াশলাই মজুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে। সার্বক্ষণিক সবকটি উপজেলায় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন জানান, উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ১ হাজার মানুষ ১২টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। তাদের জন্য শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হবিগঞ্জে ২১ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) নয়ন মনি সূত্রধর জানান, বন্যার কারণে জেলার নবীগঞ্জ, লাখাই, বানিয়াচং ও সদর উপজেলায় আউশ, বোনা আমন ও সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
নেত্রকোনা : নেত্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তবে বন্যায় দুর্গাপুর ও কলমাকান্দায় সাত শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চার সহস্রাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। রোববার কংস ও উব্দাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬০ সেমি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ১৮৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় ১৯ হাজার ৪৮০ জন মানুষ ঠাঁই নিয়েছেন। বন্যাকবলিত প্রতিটি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মেডিকেল টিম নিয়োজিত রাখা হয়েছে। দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সদর, চণ্ডীগড়, গাঁওগান্দিয়া ও বিরিশিরি ইউনিয়নের ৪০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানির সে াতে দেড় শতাধিক বাড়িঘর ভেঙে গেছে। কাঁচা-পাকা সড়ক ভেঙে গেছে। উপজেলার ৯৫ ভাগ তলিয়ে গেছে।
জেলা পাউবোর কর্মকর্তা এমএল সৈকত জানান, সোমেশ্বরী, ধনু ও কংস নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। কলমাকান্দা পয়েন্টে সোমেশ্বরীর পানি বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার, জারিয়া পয়েন্টে কংসের পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার এবং খালিয়াজুরী পয়েন্টে ধনুর পানি বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে দুর্গাপুর পয়েন্টে সোমেশ্বরীর পানি বিপৎসীমার ২৭৪ সেন্টিমিটার নিচে চলে এসেছে।
শেরপুর : সীমান্তবর্তী পাহাড়ি নদী ভোগাই, মহারশি, সোমেশ্বরী ও চেল্লাখালি নদীর পানি কমায় ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার উজানের বন্যার উন্নতি হয়েছে। ২০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার বিকালে ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের খইলকুড়া গ্রামের ১৩ বছরের শিশু আতিক ঢলের পানিতে গোসল করতে গিয়ে ভেসে গেছে।
রাঙামাটি : পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী উপজেলা বাঘাইছড়ি ও বরকলের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া কাপ্তাই হ্রদসংলগ্ন বিভিন্ন উপজেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এদিকে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে থাকা শহর এলাকার মানুষজন। কাচালং নদীর পানিতে সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট বাজারের আশপাশের এলাকা, বাঘাইছড়ি পৌরসভা ও আমতলী ইউনিয়নের প্রায় ১০টি এলাকা তলিয়ে গেছে। মাছের ঘের ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া টানা বর্ষণে মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কসহ পাহাড়ি এলাকায় মাটি ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাহাড়ে ঝুঁকিতে বসবাসকারী লোকজনকে সতর্ক করে মাইকিং করা হচ্ছে এবং নিরাপদ স্থানে বা আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলায় ১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সূত্র: যুগান্তর