প্রকাশ : ১০ জুন ২০২২, ০৮:৩০
একনজরে বাজেট ২০২২-২৩
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৪ লাখ ৩১ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেন। অর্থমন্ত্রী যে বাজেট বক্তব্য দিয়েছেন, তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন’।
প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংগৃহীত কর থেকে পাওয়া যাবে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর–বহির্ভূত কর থেকে আসবে ১৮ হাজার কোটি টাকা আর কর ব্যতীত প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
এবারের বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। ঘাটতির মধ্যে অনুদানসহ বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ৯৮ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা; আর অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আসবে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা, এর মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা।
জিডিপি সাড়ে ৭ শতাংশ
২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আর ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সাময়িক হিসাবে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল বিশ্বব্যাংক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে। আর নতুন অর্থবছরে (২০২২-২৩) জিডিপির প্রবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। গত ১৩ বছরে জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, করোনার কারণে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ বাধাগ্রস্ত হলেও তৈরি পোশাক রপ্তানির ধারা এখনো শক্তিশালী। ইউরোপসহ বিভিন্ন বাজারে পোশাক রপ্তানির বাজার অংশীদারত্ব যদি ধরে রাখা সম্ভব হয়, তাহলে চলতি অর্থবছরে কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব। আর নতুন অর্থবছরের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক বলেছে, স্থানীয় চাহিদা পেলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জিত হতে পারে।
মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ
চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে অসংগতি রোধের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার বদ্ধপরিকর। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বহিঃস্থ এবং কিছু অভ্যন্তরীণ কারণে সম্প্রতি মূল্যস্ফীতি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বাজেট বক্তৃতায় জানান অর্থমন্ত্রী।
মূল্যস্ফীতির বৈশ্বিক কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে, বাণিজ্য সহযোগীদের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, টাকার মূল্যমান কমে যাওয়া, বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। মূলস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আগামী বাজেটে বিভিন্ন কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হবে।
মধ্যবিত্তদের করের আওতায় আনা হবে
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের মধ্যবিত্ত বা তদূর্ধ্ব শ্রেণির জনসংখ্যা প্রায় ৪ কোটির মতো, যার অধিকাংশই আয়কর দিচ্ছে না। কর ফাঁকি রোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণসহ করযোগ্য সবাইকে করের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
গত এপ্রিল পর্যন্ত টিনধারীর সংখ্যা ৭৫ লাখ ১০ হাজারে উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি গত মার্চ পর্যন্ত কর প্রদানকারীর সংখ্যা বেড়ে ২৯ লাখে দাঁড়িয়েছে। টিনধারীর সংখ্যা এক কোটিতে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। কিছু ক্ষেত্র ব্যতীত সবার জন্য রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হবে।
করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়েনি
প্রস্তাবিত বাজেট থেকে সাধারণ করদাতারা তেমন কোনো সুখবর পাচ্ছেন না। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হয়নি। এই সীমা আগের মতোই তিন লাখ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ছিল মাত্র ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, যা ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে তিন লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। পরবর্তী অর্থবছরেও এই সীমা বহাল রাখা হয়েছে।
শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে
আসন্ন অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষা খাতে টাকার অঙ্কে মোট বরাদ্দ বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের তুলনায় আসন্ন অর্থবছরে মোট ৯ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই দুই মন্ত্রণালয়ের জন্য আসন্ন অর্থবছরে মোট ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে; যা চলতি বছরের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ৭১ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা।
স্বাস্থ্যে বেড়েছে ৪ হাজার কোটি
এবারে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ রাখা হয়েছে স্বাস্থ্য খাতের জন্য। চলতি অর্থবছরে স্বাস্থ্যের জন্য বরাদ্দ ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। ২০২২–২৩ অর্থবছরে বরাদ্দ হয়েছে ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বেড়েছে ৪ হাজার ১৩২ কোটি টাকা।
সারে ভর্তুকি ১৬ হাজার কোটি
এবার প্রস্তাবিত বাজেটে সার বাবদ ভর্তুকি চার হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে সারে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছিল সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বিশ্বজুড়ে সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বছর শেষে তা ১২ হাজার কোটি টাকা দাঁড়ায়। মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এবার ভর্তুকির পরিমাণ বাড়িয়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।
প্রতিবন্ধী ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাসিক ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা মাসিক ৭৫০ টাকা হারে ভাতা পান। এই ভাতা ১০০ টাকা বাড়িয়ে মাসিক ৮৫০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিবন্ধী ভাতার উপকারভোগীর সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা বাবদ ২ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ২০ লাখ ৮ হাজার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে মাসিক ভাতা দেওয়া হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উপকারভোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৫৭ লাখ বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তাতে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২৩ লাখ ৬৫ হাজারে।
সড়ক ও রেলে বরাদ্দ বেড়েছে
প্রস্তাবিত বাজেটে সড়ক খাতে বরাদ্দ বাড়ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে ৩১ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মোট উন্নয়ন বরাদ্দের ১২ দশমিক ৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছিল ২৮ হাজার ৪২ কোটি টাকা।
স্টার্টআপের জন্য সুখবর
এবারের বাজেট স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য সুখবর দিল। স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের টার্নওভার করহার শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি আয়কর রিটার্ন দাখিল বাদে বাকি সব রিপোর্টিং থেকে অব্যাহতির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে স্টার্টআপ কোম্পানির লোকসান ৯ বছর পর্যন্ত সমন্বয়েরও প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ব্যবসার প্রসারের জন্য স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে ব্যয়সংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহারেরও প্রস্তাব করা হয়।
যেসব পণ্য বা সেবার দাম কমতে পারে
শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) ও নন-এসি রেস্তোরাঁয় ভ্যাট কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য বিশেষায়িত হুইলচেয়ার আমদানিতে বিদ্যমান সব ধরনের শুল্ক–কর বিলোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। কাজুবাদামের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
মুড়ি ও চিনির ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর খাবার তৈরির উপকরণে করছাড় দিয়েছে সরকার। হ্যান্ড টাওয়েল/পেপার টাওয়েল/ক্লিনিক্যাল বেডশিটের ভ্যাট কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
দেশের পরিবেশকে টেকসই ও দূষণমুক্ত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে অনেক পয়ঃশোধনাগার (এসটিপি) স্থাপন করা হচ্ছে এবং দিন দিন এর চাহিদাও বাড়ছে জানিয়ে এর আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এত দিন আমদানি শুল্ক ছিল ২৫ শতাংশ।
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বাল্কে (একত্রে বিপুল পরিমাণে) বিক্রির উদ্দেশ্যে, বাল্কে কেনার ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ের ক্রয়ে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। সুতার ভ্যাট কমানো হয়েছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের পড়ার উপকরণ ব্রেইল মুদ্রণের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। শ্রবণপ্রতিবন্ধীদের কানে শোনার যন্ত্রে ব্যবহৃত ব্যাটারির ওপর প্রযোজ্য শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
ল্যাপটপ, গাড়ির দাম বাড়বে
আগামী ২০২২–২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানি করা ল্যাপটপের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর ফলে ল্যাপটপ কিনতে হলে আপনাকে বাড়তি অর্থ গুনতে হবে।
প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী, ২০০১ সিসি থেকে ৩০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির সম্পূরক শুল্ক ২০০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫০ শতাংশ করা হয়েছে। ৩০০১ সিসি থেকে ৪০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির সম্পূরক শুল্ক ৩৫০ শতাংশ থেকে ৫০০ শতাংশ করা হয়েছে। তবে ৪০০০ সিসির ঊর্ধ্বের গাড়ির সম্পূরক শুল্ক আগের মতোই অর্থাৎ ৫০০ শতাংশই রাখা হয়েছে।
আরও যেসব পণ্য বা সেবার দাম বাড়তে পারে
কম বা বেশি দামি—সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বিড়ির দামও। ২০২২–২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেট ও বিড়ির শুল্ক–কর বাড়ানো হয়েছে।
ট্রেনের প্রথম শ্রেণির টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এ কারণে ট্রেনের প্রথম শ্রেণির টিকিটের ভাড়া কমপক্ষে ১৫ শতাংশ বেড়ে যাবে।
আগামী অর্থবছরের (২০২২–২৩) প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশি লিফটের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বাড়তে পারে বিদেশি লিফটের দাম।
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রক্রিয়াজাত ও রেডি টু কনজিউম কফি আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে এ পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
সূত্র: প্রথম আলো