প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২২, ০৮:২৬
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি
প্রকৃতি, পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র সংরক্ষণের মাধ্যমে ধরিত্রী টিকিয়ে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রবিবার (৫ জুন) ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে শনিবার তিনি এ কথা বলেন। পরিবেশ সংরক্ষণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২২’ পালনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রকৃতি ও পরিবেশ থেকে নানা উপাদান গ্রহণ করেই আমরা বেঁচে থাকি। কাজেই প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে পৃথিবী তথা আমাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। পৃথিবীতে মানবজাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আমাদেরকে প্রকৃতি ও পরিবেশের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। প্রকৃতির অক্ষুণ্ণতা বজায় রাখাকে গুরুত্ব দিয়ে এ বছরের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘একটাই পৃথিবী: প্রকৃতির ঐকতানে টেকসই জীবন’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন। স্লোগানটি প্রকৃতি ও পরিবেশকে সংরক্ষিত রাখার পাশাপাশি ধরিত্রীকে টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বার্তা বহন করে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য নিদর্শন এই বাংলাদেশ। ভৌগোলিক অবস্থান, নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া, পাহাড়-অরণ্য, নদ-নদী, বিপুল উপকূলীয় প্যারাবন এবং বঙ্গোপসাগর মিলে আমরা পেয়েছি প্রকৃতির এক অনন্য লীলাভূমি। এদেশের মানুষ অনাদিকাল থেকে প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান আহরণের মাধ্যমে জীবনযাত্রা নির্বাহ করছে এবং প্রথাগতভাবে জীববৈচিত্র সংরক্ষণে ভূমিকা পালন করছে। সরকার জীববৈচিত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশগুলোকে সংরক্ষিত এলাকা ও প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণাপূর্বক সেগুলোর প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
আবদুল হামিদ বলেন, সকল উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের সময় প্রকৃতি এবং পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। যেকোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের সময় প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র যাতে বিনষ্ট না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে নজর দেয়া আবশ্যক। কারণ, প্রকৃতি বাঁচলে আমরা বাঁচব। প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র ধ্বংস হলে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হবে, অপরদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হবে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, আসুন, সুখী-সুন্দর সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রকৃতি, পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র সংরক্ষণে আমরা সবাই একযোগে কাজ করি এবং বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জন্য প্রকৃতির ঐকতানে টেকসই জীবনের নিশ্চয়তা বিধান করি।
সূত্র: আরটিভি