শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৯ °সে

প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ২১:৫৩

বিডিআর হত্যার তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি

বিডিআর হত্যার তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি
অনলাইন ডেস্ক

বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রমে সহায়ক তথ্য দিয়ে কমিশনকে সাহায্য করার জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

প্রায় ১৬ বছর আগে সংঘটিত ঘটনার তথ্য উদঘাটন জটিল হলেও কমিশন অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, যাতে করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে সত্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়।

কমিশন নজিরবিহীন লোমহর্ষক পিলখানা হত্যাযজ্ঞের ওই ঘটনা বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য ও সাক্ষ্য আহ্বান করেছে। যে পদ্ধতিতে তথ্য দেওয়া যাবে : ওয়েবসাইটের মাধ্যমে bdr-commission.org, ই-মেইলের মাধ্যমে: [email protected]। এছাড়াও কমিশনে হাজির হয়ে কিংবা কুরিয়ার ও ডাকযোগেও সহায়তা করা যাবে। ঠিকানা : বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস (বিআরআইসিএম), নতুন ভবন (৭ম তলা), ড. কুদরত-এ-খুদা সড়ক (সায়েন্স ল্যাবরেটরি রোড), ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫। কমিশনকে ঢাকার বাইরে অথবা বাংলাদেশের বাইরে অবস্থানকারী তথ্যদাতার বাসায় গিয়ে বা অন্য যেকোনো স্থান থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হলে উল্লিখিত ঠিকানায় যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

হটলাইন (সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা: ০১৭৬৯-৬০০২৮১)। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এই বিষয়ে সহায়তাকারী ব্যক্তির পরিচয়ের গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

তথ্যদাতা তার নাম, ফোন, ই-মেইল, ঠিকানা সাবমিট করবেন ওয়েবসাইটে। এর আগে তথ্যের প্রকৃতি নির্বাচন করতে হবে– বেঁচে ফিরে আসা শহীদ পরিবারের ব্যক্তিবর্গের বিবৃতি, অন্যান্য সাক্ষী বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের বিবৃতি, প্রিন্ট মিডিয়া (খবরের কাগজ), ইলেকট্রনিক মিডিয়া (ইমেজ, ভিডিও, অডিও, নিউজ পেপার) মোবাইল কল রেকর্ড, মোবাইল ম্যাসেজ, হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর।

স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমানের স্বাক্ষরিত এই গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে সংঘটিত বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের সাথে জড়িত দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও প্রকৃত ঘটনার স্বরূপ উদঘাটন, ঘটনায় রুজুকৃত দুটি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ ব্যতীত, ঘটনার ষড়যন্ত্রকারী, ঘটনার সহযোগী, ঘটনার আলামত ধ্বংসকারী, ঘটনার সংঘটনকারী এবং ঘটনার অপরাপর সংশ্লিষ্ট বিষয় ও অপরাধীদের এবং সংঘটিত অপরাধ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতার জন্য দায়ী ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংস্থা, বিভাগ, সংগঠন চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে একটি ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন’ গঠন করেছে। ইতোমধ্যে উক্ত কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’

কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী কিছু কিছু বিদেশি দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করার বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং এই প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি লিখা হয়েছে। প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে পিলখানা হত্যাযজ্ঞ নিয়ে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। কমিশন সব তথ্য সংগ্রহ এবং পর্যালোচনা করেছে।

কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে এবং কোনো প্রকার চাপ বা প্রভাব মুক্ত অবস্থায় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

গত বছরের ২৪ ডিসেম্বরে সরকারের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬ এর অধীনে মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমানকে (অবসরপ্রাপ্ত) সভাপতি করে ‘পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে সংঘটিত বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের’ বিষয়ে ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন’ গঠন করা হয়। পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে জড়িত দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও প্রকৃত ঘটনার উদঘাটন এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করতে এ জাতীয় স্বাধীন পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়