রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫  |   ৩১ °সে

প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৩:৪২

চারুকলায় মোটিফ পোড়ানোর ঘটনায় মামলা

চারুকলায় মোটিফ পোড়ানোর ঘটনায় মামলা
অনলাইন ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য তৈরি দুটি মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে এ মামলাটি করা হয়েছে বলে শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর।

তিনি বলেন, চারুকলার মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ এবং তাদের সহযোগী সংগঠনের অজ্ঞাতনামা সদস্যরা এই ঘটনায় জড়িত।

মামলার এজাহারে বলা হয়, শনিবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে চারুকলা অনুষদের দক্ষিণ পাশের গেটসংলগ্ন প্যান্ডেলে ঢুকে আসামিরা শোভাযাত্রার জন্য নির্মিত প্রতীকী মোটিফগুলোর মধ্যে একটি-দানবীয় ফ্যাসিস্টের প্রতীকটিতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল টিম তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনে।

এজাহারে বলা হয়, অগ্নিসংযোগের ফলে দানবীয় ফ্যাসিস্ট প্রতীকটি সম্পূর্ণরূপে পুড়ে যায়, পাশাপাশি শান্তির প্রতীক কবুতরের মোটিফটিরও অধিকাংশ অংশ পুড়ে গেছে।

এদিকে, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, এক যুবক কালো টি-শার্ট পরে আগুন দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

এর আগে এ ঘটনায় চারুকলা অনুষদের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল।

শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় সরেজমিনে দেখা যায়, চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভেতরে পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন আকৃতির প্রতিকৃতি তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে ‘ফ্যাসিবাদী মুখাকৃতি’ আগুনে সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। শান্তির প্রতীক পায়রাটিও আগুনে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া একটি বাঘ আকৃতির প্রতিকৃতির লেজ আগুনে পুড়ে গেছে।

এ বিষয়ে সকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এস এম মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ভোর পাঁচটার কিছু আগে এটি ঘটে। আমাদের ধারণা, কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজটি করেছে। ডিটেনশন টিম কাজ করছে, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায়, ফ্যাসিবাদবিরোধী মোটিফ পুড়াতে গিয়ে শান্তির প্রতীক পায়রাটি আগুনে পুড়ে গেছে। যারা এই মোটিফ পছন্দ করে না, তাদের দিকেই আমাদের সন্দেহ যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়