প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৩:১৮
মহাকাশ প্রযুক্তিতে সহযোগিতা বাংলাদেশ ও তুরস্কের জন্য লাভজনক হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশর অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, মহাকাশ প্রযুক্তিতে ঢাকার একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার প্রয়োজন। আর তাই বাংলাদেশ ও তুরস্ক যদি একের অপরকে সহযোগিতা করে তাহলে তা উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
তুরস্কে ‘আনাতোলিয়া কূটনীতি ফোরাম (এডিএফ)-২০২৫’ এর ফাঁকে ‘টার্কিশ এয়ারোস্পেস’-এর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহমেত ডেমিরোগ্লুর সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমও অংশ নেন।
বৈঠকে উভয়পক্ষ বাংলাদেশে বিনিয়োগের খাত অন্বেষণ ও মানবসম্পদ উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়ে একমত পোষণ করেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আমন্ত্রণে মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুযোগ অন্বেষণ ও ভবিষ্যতে সহযোগিতার জন্য ‘টার্কিশ এয়ারোস্পেস’-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে তুরস্কের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসতে সম্মত হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও উভয়পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) তুরস্কের আনাতোলিয়ায় তিন দিনব্যাপী ‘আনাতোলিয়া কূটনীতি ফোরাম (এডিএফ)-২০২৫’ শুরু হয়েছে। এ ফোরামের প্রতিপাদ্য হলো-‘বিভক্ত বিশ্বে কূটনীতি পুনরুদ্ধার’। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ফোরামের আয়োজন করেছে।
বিশ্ব নেতা, নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়িক বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা একত্রিত হয়েছেন এই ফোরামে। এই ফোরামের মাধ্যমে কীভাবে কূটনীতির পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দেয়া যায় এবং একটি বিভক্ত বিশ্বে সম্মিলিত পদক্ষেপের একটি সাধারণ ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়, তা অনুসন্ধান করার কথা জানিয়েছেন আয়োজকরা।
২০ জনেরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, ৫০ জনেরও বেশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ৭০ জনেরও বেশি মন্ত্রী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রায় ৬০ জন সিনিয়র প্রতিনিধি, পাশাপাশি শিক্ষার্থীসহ ৪ হাজার জনেরও বেশি অতিথি ফোরামে অংশগ্রহণ করেছেন।