প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৫, ১৪:৫১
দেশে কিডনি রোগে আক্রান্ত ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষ

বাংলাদেশে তিন কোটি ৮০ লাখ মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। এরমধ্যে প্রতি বছর প্রায় ৪০ হাজার কিডনি রোগী ডায়ালাইসিসের ওপর নির্ভরশীল হয়।
বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে রাজধানীতে এক গোলটেবিল বৈঠকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটির (ক্যাম্পস) প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ এ তথ্য জানান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যের বরাতে তিনি বলেন, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কিডনি রোগের প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলতার মতো অসংক্রামক রোগের কারণে।
ডা. সামাদ বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৮৫ কোটি মানুষ শুধু দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত। এই সংখ্যা ডায়াবেটিস রোগীদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ এবং ক্যানসার রোগীদের চেয়ে প্রায় ২০ গুণ।
তিনি বলেন, কিডনি রোগের সাধারণ কারণগুলো হলো অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, নেফ্রাইটিস, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, ব্যথানাশক ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার, জন্মগত ও বংশগত কিডনি রোগ, মূত্রতন্ত্রের প্রদাহ ও পাথুরে রোগী। প্রায় সব কারণই আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবনধারার সাথে জড়িত। একটু সচেতন হলে এটি প্রতিরোধযোগ্য।
বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক বলেন, যারা ঝুঁকিতে আছেন (যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ওজন বেশি, বংশে কিডনি রোগ, ধূমপায়ী, তীব্র মাত্রার ব্যথার ওষুধ) তাদের বছরে অন্তত দুইবার প্রস্রাব ও রক্তের ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। প্রাথমিক অবস্থায় কিডনি রোগ শনাক্ত করতে পারলে চিকিৎসার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
বৈঠকে কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন-উর-রশিদ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব শাহ সানাউল হক, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলামসহ অনেকেই উপস্থতি ছিলেন।