বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫  |   ২৯ °সে

প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:৫৪

শবে বরাতকে ঘিরে বেড়েছে মুরগি-গরুর মাংসের দাম

শবে বরাতকে ঘিরে বেড়েছে মুরগি-গরুর মাংসের দাম
অনলাইন ডেস্ক

পবিত্র শবে বরাতকে ঘিরে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বেড়েছে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। তবে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই বাড়ানো হয়েছে দাম।

ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে ব্রয়লারের দাম। এছাড়া সোনালি, লেয়ার মুরগির দামও বাড়তি। আর হাড় ছাড়া গরুর মাংস কেজিপ্রতি ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ছিল ৯০০ টাকা কেজি।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, হঠাৎ করে ব্রয়লার মুরগির দাম পাইকারি ব্যবসায়ীরা কেজিতে ১০-২০ টাকা বাড়িয়েছেন। বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে; তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

বিক্রেতাদের অভিযোগ, খামার থেকে তিন-চার হাত ঘুরে বাজারে মুরগি আসে। এই হাত বদলেই মূলত দামটা বেড়ে যায়।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২১০ টাকায়। সপ্তাহখানেক আগেও যার দাম ছিল ১৭০-১৮০ টাকা।

উপজেলার বড়তাকিয়া বাজারে সাব্বির পোল্ট্রি নামের একটি মুরগির দোকানে কথা হয় ব্যবসায়ী সাহাব উদ্দিনের সঙ্গে।

তিনি বলেন, এবার দাম বেশি বাড়েনি, এক লাফে নয়, সপ্তাহ ধরে ধাপে ধাপে বেড়েছে। ৭-৮ দিন আগেও ১৮০-১৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন ২০০-২০৫।

তিনি বলেন, শবে বরাতে প্রত্যেক বছরই দাম বাড়ে। তবে এবার একটু কম। আমাদের কিছুই করার নেই। বাড়তি দরে কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামে বিক্রি।

আরেক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, দাম মূলত ২-৩ দিন ধরে বাড়ছে। এক সপ্তাহ আগে ১৮০-১৮৫ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। এখন ২০০-২০৫। দাম কম-বেশি, এগুলোর নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই।'

পাইকারি মুরগি ব্যবসায়ী মো. আরিফ বলেন, আমরা সরাসরি মুরগি কিনি না। ব্রোকার কিনে খামারির কাছ থেকে। এরপর আরও একহাত ঘুরে আসে আমাদের কাছে। আমরা যে দামে কিনি, তার ওপর সীমিত লাভে বিক্রি করি। এখানে দাম বাড়ানো বা কারসাজির সুযোগ নাই। এগুলো মিডল পার্টিরা করতে পারে।

সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, শবে বরাতে মুরগির চাহিদা বেশি। সেই সুযোগে প্রতিবছর দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা। কেজিতে ২০-৪০ টাকা বাড়তি দাম নেওয়া হয়।

বারইয়ারহাট বাজারের এক মাংস ব্যবসায়ী বলেন, গরুর দাম আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। বেড়েছে পরিবহন ও শ্রমিকের মজুরি। তাই বাধ্য হয়ে মাংসের দাম বাড়াতে হয়েছে।

মোহাম্মদ খোরশেদ আলম নামে একজন চাকরিজীবী বলেন, এত দাম মুরগির! বাধ্য হয়ে কিনছি। কোনো উপলক্ষ পেলে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়