প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:১৭
গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ : বাঁচানো গেল না দগ্ধ দুই ভাইকে
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই ভাই মো. সোহেল (২০) ও মো. ইসমাইল (১১) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ভোরের দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাদের।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেখ হাসানা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, আজ ভোরের দিকে সোহেল ৭০ শতাংশ দগ্ধ এবং শিশু ইসমাইল ৫৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে আমাদের হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
এ ঘটনায় একই পরিবারের বাবুল ৬৬ শতাংশ, শেলী ৩০ শতাংশ, মুন্নি ২০ শতাংশ ও তাসলিমা ৬৩ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় আমাদের বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
নিহতদের মামা আবদুস সোবাহান জানান, দগ্ধরা সবাই রূপগঞ্জের হকিরা ফ্যাশনে পোশাক শ্রমিকের কাজ করতো। তারা সবাই একই রুমে বসবাস করত। কাজ শেষে বাসায় ফিরে মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয় তারা। ধারণা করছি, লাইনের গ্যাস লিকেস হয়ে ওই ঘরে আগেই গ্যাস জমে ছিল। এসময় মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে ছয় জনই দগ্ধ হয়। পরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরের দিকে আমার দুই ভাগিনা সোহেল ও ইসমাইল মারা যায়। এই ঘটনায় আমার ভগ্নিপতি বাবুল মিয়া, বোন শেলী, ভাগ্নি তাসলিমা এবং ভাগিনার স্ত্রী মুন্নি হাসপাতালে নিবিড় পর্যন্ত কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসক আমাদের জানিয়েছেন। এর মধ্যে আমার বোন শেলী লাইফ সাপোর্টে রয়েছে।
গত ২৫ অক্টোবর রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ডহরগাও এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।