প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪৯
‘রিসেট বাটন’ চেপে কি করতে চেয়েছেন ড. ইউনূস? ব্যাখ্যা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘রিসেট বাটন’ চাপা নিয়ে করা বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। প্রকৃত অর্থে ‘রিসেট বাটন’ চেপে দেশের গর্বের ইতিহাস মুছে ফেলা নয়, দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিকেই ইঙ্গিত করেছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ। এমন ব্যাখ্যাই দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
|আরো খবর
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়েরর ভেরিফায়েড পেজে বলা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রিসেট বাটন চাপার কথাটি উল্লেখ করে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি, যা বাংলাদেশের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে এবং কোটি মানুষের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার হরণ করেছে, সেটি থেকে বের হয়ে এসে নতুনভাবে শুরুর কথা বুঝিয়েছেন। তিনি কখনোই বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেননি। এখানে উল্লেখ্য যে, কেউ যখন কোনো ডিভাইসে রিসেট বোতাম চাপেন, তখন তিনি নতুন করে ডিভাইসটি চালু করতে সফটওয়্যার সেট করেন। এতে হার্ডওয়্যার পরিবর্তন হয় না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার।’
আরও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, ‘সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎকার ঘিরে কেউ কেউ ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিতে ঢাকায় আসার পর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে জনগণ নেতৃত্ব দিয়েছে। এটি আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। প্রথম স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে দেশের গৌরবময় স্বাধীনতা যুদ্ধ।’
পোস্টে আরও বলা হয়, ১৯৭১ সালে অধ্যাপক ইউনূস মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর পরই তিনি বাংলাদেশ সিটিজেন্স কমিটি গঠন করেন এবং বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে মার্কিন সরকারকে রাজি করাতে যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী প্রচারণা শুরু করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা সম্পর্কে বিশ্বকে জানানোর জন্য বাংলাদেশ নিউজলেটার প্রকাশ করেছিলেন তিনি।