শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪  |   ২৯ °সে

প্রকাশ : ৩১ মে ২০২২, ১২:৩৩

শব্দ যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিদিন ২২ জন কল করে ৯৯৯ এ

শব্দ যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিদিন ২২ জন কল করে ৯৯৯ এ
অনলাইন ডেস্ক

গান-বাজনাসহ শব্দ যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর প্রমাণ মিলছে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর তিন বছরের কলের সংখ্যা থেকে। ২০১৯ সালে উচ্চস্বরে গান-বাজনা ও মাইকিংসহ বিভিন্ন শব্দদূষণ সংক্রান্ত কারণে ৯৯৯ ফোন করেন ৫ হাজার ১৭ জন, ২০২০ সালে ফোন করেন ৭ হাজার ৯৫২ ও ২০২১ সালে ফোন করেন ৯ হাজার ২৩৮ জন। এরপর ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ফোন করেন ৮ হাজার ২৮৭ জন।

গত তিন বছরের বেশি সময়ে মোট কল করেছেন ৩০ হাজার ৪৯৪ জন। গান-বাজনাসহ শব্দ যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে এই সময়ে গড়ে প্রতিদিন ২২ জনের বেশি কল করছেন জাতীয় জরুরি সেবায়।

জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এর পরিদর্শক (মিডিয়া) আনোয়ার সাত্তার বলেন, শব্দদূষণের সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে থার্টিফার্স্ট নাইটে। এরপর বিয়ে, গায়ে হলুদ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানেরও অভিযোগ আসছে প্রতিনিয়তই। পুরান ঢাকার সাকরাইন উৎসবে ডিজে পার্টি ও উচ্চইঃস্বরে সাউন্ডবক্স বাজানোর অভিযোগও আসে। জাতীয় দিবসগুলোতেও কোনো না কোনো এলাকা থেকে অভিযোগ আসে সারারাত উচ্চশব্দে গান বাজানো হয়। এছাড়া নির্মাণকাজের শব্দের বিষয়েও অভিযোগ আসে গভীর রাতে।

তিনি বলেন, বিকেলের দিকে গায়ে হলুদে গান বাজতেই পারে। তবে তা যদি গভীর রাত পর্যন্ত চলে আর আমাদের কাছে অভিযোগ আসে সেক্ষেত্রে আমরা সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানাই। এক্ষেত্রে যদিও আইন প্রয়োগের কথা রয়েছে তবে বিয়ের কারণে অনেক সময় আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের বুঝিয়ে উচ্চইঃস্বরে গান বন্ধ করতে বলা হয়।

আনোয়ার সাত্তার আরও বলেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠান যেমন ওয়াজ মাহফিলের ক্ষেত্রে যদি যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকে সেক্ষেত্রে আইনগতভাবে পুলিশের করার কিছু থাকে না। সামাজিক অনুষ্ঠানে সামাজিকতার বিষয় আছে। ৯৯৯-কে জানালে ৯৯৯ সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানায়। ভবন নির্মাণকাজের সময় প্রায় ফোন আসে শব্দদূষণের জন্য। আইনেও রয়েছে সন্ধ্যা ৭টার পর কোনো নির্মাণকাজ করা যাবে না। তবে সম্পূর্ণভাবে ব্যবস্থা নিয়ে শব্দদূষণ সমাধান করা সম্ভব হবে না, যদি সমাজের সবাই এক্ষেত্রে এগিয়ে না আসে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়