প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১৮:১৮
সার ও ডাল দিয়ে শুরু অন্তর্বর্তী সরকারের কেনাকাটা
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ৯০ হাজার টন ইউরিয়া সার এবং ২০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে। সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কেনাকাটা শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত বৈঠকে উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে চারটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। এরমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩টি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব ছিল।
বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সারের সরবরাহ আমরা কোনোভাবেই কমতে দেব না। আর অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মধ্যে মসুর ডাল গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমরা কিনবো। এর জন্য যা অর্থকড়ি লাগে সেটা ফরেন কারেন্সিতে হোক, আমরা দেব। এটা দ্রুতই করতে হবে। আজকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল সার ক্রয় ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য মসুর ডাল ক্রয়। আমরা অনুমোদন দিয়েছি।
সার আগের সরকারের মতই কাতার থেকে আমদানি করা হবে। রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় এবার ১১তম লটে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতি টন ৩৪৪ দশমিক ৫০ ডলার হিসেবে ওই সার কিনতে মোট ১২১ কোটি ৯৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে।
আরও ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনা হবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের আওতায় বাংলাদেশের বহুজাতিক সার কারখানা কাফকো থেকে। এ সার প্রতি টন ৩৩২.৭৫ ডলার দরে কেনা হবে। এতে মোট খরচ হবে ১১৭ কোটি ৭৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
তৃতীয় প্রস্তাবের আওতায় কাতারের মুনতাজাত থেকে কেনা হবে আরও ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার। এ সার প্রতি টন ৩৩৯.১৭ ডলার হিসেবে এতে মোট খরচ হচ্ছে ১২০ কোটি ৬ লাখ ৬১ হাজার ৮০০ টাকা।
তবে ২০ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী এসব ডাল ৫০ কেজির বস্তা ধরে কেনা হবে। এতে খরচ হবে ২০৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা।