শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে

প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৪, ১৪:৫৫

ব্রয়লার মুরগিতে স্বস্তি, দোকানে ক্রেতাদের ভিড়

ব্রয়লার মুরগিতে স্বস্তি, দোকানে ক্রেতাদের ভিড়
অনলাইন ডেস্ক

গরুর মাংস, মাছ-ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি দ্রব্যের দামের আগুনে যেন হাত পুড়ছে মধ্য ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীর। তবে ব্রয়লার মুরগির মাংসের দাম কমে আসায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে জনমনে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়, যা গত একমাস আগেও ছিল ২০০ টাকার মধ্যে। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় দাম কম থাকায় মুরগির মাংসের দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেছে।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাড্ডা এলাকার প্রায় প্রতিটি দোকানেই ব্রয়লার মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে। যদিও কেউ কেউ ১৬৫ টাকা দাম চাচ্ছে, কিন্তু ক্রেতার মনোভাব বুঝে আবার ১৬০ টাকা করেই বিক্রি করছেন তারা। শুধু ব্রয়লার নয়, পাকিস্তানি লেয়ার, সোনালি জাতের মুরগির দামও অনেকটা কমে এসেছে। প্রতি কেজি সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, যা একমাস আগেও ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা কেজি। এ ছাড়া, বাজারে পাকিস্তানি লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজিতে।

এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম কমে আসায় স্বস্তি মিলেছে মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোতে। শরিফুল ইসলাম নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, আমরা যারা গরীব মানুষ, আমরা চাইলেই গরুর মাংস খেতে পারি না। মুরগির মাংসের দামটা নাগালে থাকলে এটাই হয়ে উঠে আমাদের গরুর মাংস। কিন্তু দাম বেড়ে গেলেই আর ঠিকমতো খাওয়া হয়ে উঠে না।

তিনি বলেন, ব্রয়লার আজকে ১৬৫ টাকা দিয়ে কিনেছি, আমার কাছে মনে হচ্ছে এটাই এই বছরে সর্বনিম্ন দাম। সবসময় এই দামের মধ্যে থাকলেই আমরা খুশি।

সাব্বির আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা যারা মেসে থেকে পড়াশোনা করি, আমাদের অনেকটাই মুরগির মাংসের উপর নির্ভরশীল থাকতে হয়। কিছুদিন আগে দামটা বেড়ে গিয়েছিল, আমরাও একটু অস্বস্তিতে ছিলাম। এখন দেখছি আবার দামটা কমেছে। আমি মনে করি এখনের দামটাই ঠিক আছে। ব্যবসায়ীরা চাইলেই এই দামে বিক্রি করতে পারে, কিন্তু সুযোগ বুঝে তারা গণহারে পকেট কাটতে শুরু করে।

দাম প্রসঙ্গে মুরগির মাংস বিক্রেতা মনসুর আলী বলেন, গত কয়েকদিনে ব্রয়লার মুরগির দামটাও একটু কম। মাস দুয়েক আগে একবার ১৭০ টাকা পর্যন্ত আসছিলো, কিন্তু এরপর আবার দামটা বেড়ে যায়। গত মাসেও ২০০ টাকার বেশি ছিলো, আজ আবার ১৬০-১৬৫ টাকা করে বিক্রি করছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি কম দামে কিনতে পারি, তাহলেই কমে বিক্রি করতে পারি। দামটা কম থাকলে আমাদের জন্যও ভালো, কারণ বেশি দাম থাকলে বিক্রিও খুব সীমিত হয়। এখন দাম কম, বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়