প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৪, ০৮:৪৮
দ্বিপাক্ষিক সফরে আজ ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ নয়াদিল্লি যাচ্ছেন। ভারতে টানা তৃতীয়বার বিজেপি সরকার গঠনের পর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে যাচ্ছেন তিনি। নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শুক্রবার (২১ জুন) বেলা দুইটায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট যোগে পালাম বিমান বন্দরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে তার। দুই দিনের সফরে এবার প্রতিরক্ষা অংশীদারীত্বসহ বিভিন্ন ইস্যু গুরুত্ব পাবে বলে বলা হচ্ছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, এই গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সফরে দুই দেশের চমৎকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও এগিয়ে নেওয়ার বার্তা থাকবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে পারস্পরিক সহযোগিতা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং দুই দেশের মধ্যকার অমীমাংসিত ইস্যুগুলো গুরুত্ব পাবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আলোচনায় তিস্তা নয়, প্রাধান্য পাবে গঙ্গা চুক্তি। এছাড়া, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, ঋণচুক্তি, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতের বিনিয়োগ এবং মোংলা বন্দর ব্যবস্থাপনা নিয়েও আলোচনা করবেন দুই সরকারপ্রধান।
শুক্রবার শুরু হওয়া সফরের মধ্য দিয়ে চলতি মাসে দ্বিতীয়বারের মতো ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ৯ জুন মোদি সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে বিশ্ব নেতাদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সফরের সময় উভয় প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে শীর্ষপর্যায়ে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং তারপর প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনা হবে। সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বেশ কিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে।
এ ছাড়া একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত এক দশকে শক্তিশালী আঞ্চলিক অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে বেশ কিছু আন্তসীমান্ত উদ্যোগ চালু করা হয়েছে।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, সবসময় দুইটি ইস্যু সামনে আসে। এর একটি তিস্তা, অপরটি সীমান্তে হত্যা। এসব বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক সাহাব এনাম খান বললেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধের বিষয়টি এখনও অমিমাংসিত আছে। তাই এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিশ্রুতি আসতে পারে।
এই সফরেও তিস্তা চুক্তি নিয়ে আশাবাদী নন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, গঙ্গা চুক্তি নিয়ে আসতে পারে নতুন বার্তা।
ভারত থেকে ফিরে আগামী মাসে চীনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আঞ্চলিক নানা কৌশলের কারণে এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।