প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৪, ১৪:২৯
জাতীয় এসএমই পুরস্কার পেলেন ৭ উদ্যোক্তা
জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার- ২০২৩ পেয়েছেন ৭ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার প্রাপ্তদের নগদ পুরস্কার, ট্রফি ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার পেলেন যারা
বর্ষসেরা নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা স্বপ্না রাণী সেন, বর্ষসেরা পুরুষ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মো. শাফাত কাদির, বর্ষসেরা পুরুষ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মো. ওয়ালিউল্লাহ ভূঁইয়া, বর্ষসেরা ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা তাসলিমা মিজি, বর্ষসেরা পুরুষ মাঝারি উদ্যোক্তা আশরাফ হোসেন মাসুদ, বর্ষসেরা মাঝারি নারী উদ্যোক্তা সীমা সাহা ও বর্ষসেরা স্টার্ট আপ মদিনা আলী।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম, এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, এই জাতীয় এসএমই মেলা সাত দিনব্যাপী। চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতা ও দর্শনার্থীদের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে। শুধু দেশীয় উদ্যোক্তাদের তৈরি করা পণ্য নিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এসএমই ফাউন্ডেশন মেলার আয়োজন করেছে। এতে ৩৫০টির বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান অংশ নেবে, যার মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা।
মেলায় অংশ নেওয়া সাড়ে তিন শ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি থাকছে তৈরি পোশাক ও ফ্যাশনশিল্প থেকে। এ খাতের ৭৫টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেবে। অন্যান্য খাতের মধ্যে পাটজাত পণ্যের ৪২টি, হস্ত ও কারুশিল্পের ৩৮টি, চামড়াজাত পণ্য খাতের ৩২টি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৭টি, হালকা প্রকৌশলশিল্পের ২৩টি, খাদ্যপণ্যের ১৪টি ও তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের ১৩টি প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে।
পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের এসএমই ক্লাস্টারের উদ্যোক্তাদের জন্য ১২টি, হারবাল বা ভেষজশিল্পের ৫টি, জুয়েলারিশিল্পের ৫টি, প্লাস্টিক পণ্যের ৪টি, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের ৩টি, আসবাব খাতের ৩টি এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ১৯টি স্টল থাকবে মেলায়। এ ছাড়া ৩০টি ব্যাংক, ১৫টি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ক্লাবসহ প্রায় ৫০টি উদ্যোক্তা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ নেবে। আমদানি বা বিদেশি কোনো পণ্য থাকবে না মেলায়।