প্রকাশ : ০১ মে ২০২৪, ০৯:৪২
‘হতাশা থেকে রোহিঙ্গারা আইনবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হতে পারে’
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেছেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার কারণে রোহিঙ্গাদের মাঝে বিরাজমান হতাশা তাদের আইনবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে পারে। যা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।
ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ আলোচনায় কানাডা ও জাপানের রাষ্ট্রদূত, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার উপ-রাষ্ট্রদূত, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ডেলিগেশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রিজিওনাল রিফিউজি কো-অর্ডিনেটর উপস্থিত ছিলেন। ইউএনএইচসিআর-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ, ইউএনআরসি-এর হেড অব অর্গানাইজেশন ও ব্র্যাক-এর নির্বাহী পরিচালকও এতে উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন জননিরাপত্তা বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সভায় তারা বাংলাদেশে অস্থায়ী ভিত্তিতে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন, স্থানীয় সম্প্রদায়ের ওপর বিরূপ প্রভাব ও তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মানবিক সহায়তা ও তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা বাংলাদেশ সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এ বিষয়ে দ্রুততম এবং স্থায়ী সমাধানে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো ভূমিকা পালনের ওপর তিনি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, মানবিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশে যেসব শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, তা তাদের প্রত্যাবাসনের পরে রাখাইনে টেকসই সহাবস্থানে সহায়ক হবে। তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ও আগ্রহ নিয়ে কাজ করার জন্য রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান। সভায় উপস্থিত রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা এবং রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে তাদের সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তারা স্থানীয়দের কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ রোহিঙ্গাদের আত্মনির্ভরশীলতার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা করার বিষয়টি উল্লেখ করেন।