প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৪
তাজিকিস্তানে নবনিযুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
তাজিকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত (উজবেকিস্তানে নিযুক্ত আবাসিক রাষ্ট্রদূত) ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম দেশটির রাষ্ট্রপতি এমোমলি রাহমোনের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি পরিচয়পত্র পেশ করেন। এ সময় তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে তার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন।
বাংলাদেশ ও তাজিকিস্তানের মধ্যে বিরাজমান সুযোগ ও সম্ভাবনাগুলোকে কার্যকরী ও ফলপ্রসূ করতে তিনি দ্বিপাক্ষিক মেকানিজমগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। জলবায়ু পরিবর্তনসহ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে তিনি তার সরকারের প্রত্যয় ও অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত ড. ইসলামকে অভিনন্দন জানিয়ে তার কর্মকালীন সময়ে বাংলাদেশ-তাজিকিস্তান সম্পর্কে এক নতুন গতির সঞ্চার হবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন।
তাজিকিস্তান রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করার আগে রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম তাজিকিস্তানের শিল্প ও টেকনোলজি মন্ত্রী শের আলী কোবির এবং উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফারহোদ সেলিমের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। উভয় বৈঠকে রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অর্জন ও সাফল্যের চিত্র তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ ও তাজিকিস্তানের মধ্যকার সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্য ও সম্প্রীতি এবং পারস্পরিক উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা ও পরিকল্পনার ওপর আলোকপাত করে রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সহযোগিতাকে আরও গতিশীল ও সম্প্রসারিতকরণের লক্ষ্যে তাজিকিস্তানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিকে উৎসাহিত করতে শিল্প ও টেকনোলজি মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
তারা উভয়ই বস্ত্র, ওষুধ, কৃষি ও পর্যটন খাতে সহযোগিতার অপার সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে তা যথাযথভাবে কাজে লাগানোর ব্যাপারে একমত পোষণ করেন।