প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪৪
নতুন ৭ প্রতিমন্ত্রী কে কোন মন্ত্রণালয় পেলেন
শপথ নেওয়ার পর নতুন সাত প্রতিমন্ত্রীর দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ওয়াসিকা আয়শা খানকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী, শামসুন নাহারকে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, রোকেয়া সুলতানাকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও নাহিদ ইজাহার খানকে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।
মো. শহীদুজ্জামান সরকার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মো. আব্দুল ওয়াদুদ।
আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়- এ ছয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিজের কাছে রেখেছিলেন। এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়- এ চার মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নিজের কাছে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে নওগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ এবং চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রোকেয়া সুলতানা, শামসুন নাহার, ওয়াসিকা আয়শা খান ও নাহিদ ইজাহার খানকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
এখন নতুন করে আরও সাতজন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ায় মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা হলো প্রধানমন্ত্রীসহ ৪৪ জন। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৫ জন মন্ত্রী ও ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী।
নতুন সরকার গঠনের এক মাস ২০ দিনের মাথায় মন্ত্রিসভার আকার বাড়লো। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। বিএনপিবিহীন এ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় আওয়ামী লীগ। ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২৩টিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পায় ১১টি আসন। বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয় পেয়েছে। এর বাইরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ৬২ জন।
পরে ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নতুন নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। এরপর ১১ জানুয়ারি গঠিত হয় নতুন মন্ত্রিসভা, ওইদিন সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেন। প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য ৩৭ জন। নতুন মন্ত্রিসভায় ২৫ জন মন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এ মন্ত্রিসভা ছিল বেশ ছোট। এছাড়া সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে কোন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তাই শিগগির যে মন্ত্রিসভার আকার বাড়ছে তা অনেকটা নিশ্চিতই ছিল।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর মন্ত্রিসভার আকার বাড়তে পারে।
সংরক্ষিত আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ৫০ জন নারী বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শপথ নেন। এরপরই মূলত মন্ত্রিসভার আকার বাড়ানোর পদক্ষেপ নেন প্রধানমন্ত্রী।