প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪৮
কিছু জায়গায় মৌলিক পরিবর্তন আনতে চাই : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
কিছু কিছু জায়গায় মৌলিক পরিবর্তন আনতে চান বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দরকার এ ব্যাপারে কারও কোনো দ্বিমত নেই। একইসঙ্গে অপতথ্যকেও দমন করা দরকার। এটি দমন করার উপায়, আমরা সবাই কেন খুঁজে বের করছি না। তাহলে কি আমাদের মধ্যে অনেকে সামনে এক কথা বলছি, আর পেছনে আরেক কথা বলছি। সামনে পেছনে সমান কথা বলতে হবে। তাহলে পেশাদারিত্ব ও স্বচ্ছতা আনা যাবে। দিন শেষে সিদ্ধান্তটা নিতে হবে বৃহত্তর স্বার্থে। কিছু কিছু জায়গায় মৌলিক পরিবর্তন আনতে চাই। সুযোগ যেহেতু পেয়েছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ' চিন্তা করব স্ট্র্যাটেজির জায়গা থেকে, আমার দেশের ওপরে যে ধরনের আক্রমণ আসছে। মোড়লরা যে ধরনের অপতথ্য ছড়ায়, প্রথমে তারা কিছু এনজিওকে টাকা-পয়সা দেবে। তাদেরকে দিয়ে তথাকথিত কিছু রিসার্চ করাবে, সেখান থেকে সংবাদ সম্মেলন করে কিছু তথ্য আনবে। তাদের ইনভেস্টমেন্টে গণমাধ্যমের মধ্যে কিছু আউটলেট তৈরি করবে। সেখান থেকে আবার রেফারেন্স ক্রিয়েট করবে। এভাবে করতে করতে একটি নেগেটিভ ইমেজ তৈরি করে ফেলবে। সেটা করে আবার সিদ্ধান্ত নিয়ে স্যাংশন চাপাবে। এ ধরনের একটি চক্রের মধ্যে আমরা আছি। আমি যেটা বলছি এটা গল্প না। এগুলোর তথ্য-প্রমাণ আমাদের হাতে আছে।'
তিনি আরও বলেন, 'সততা, পেশাদারিত্ব এবং স্বচ্ছতা এই তিনটাতে বিশ্বাস করি। অনেকে বলে আপনি কিছুদিনের মধ্যে দু-বার এমপি হলেন। দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী হলেন। আমি বলেছি- কোন পদে আছি সেটা চিন্তা করি না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জন্য লড়াই করছি।'
আজকে মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কিছুদিন আগে, কতগুলো কংগ্রেস ম্যান বিশাল একটি সংখ্যা দিয়েছে যে, এত জন বিরোধী নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিভাবে পেল এই নম্বরটা আমরা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করব, তালিকাটা দেন। এটা নিয়ে অপপ্রচার করতে থাকে। বিভিন্ন মিডিয়া প্রচার করে। সেটা রেফারেন্স হয়ে যায়, সেটা দেখে তারা চিঠি লিখে বসে। তারপর একটা ক্ষেত্র প্রস্তুত করে। ওটাকে ঘিরে আমাদেরকে বিপদে ফেলার চেষ্টা।’
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের বাস্তবতায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিভাবে হ্যান্ডেল করতে হয়, সেটা নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তাদের মধ্যে একটা সহযোগিতার কাঠামো তৈরি করতে চাই। যাতে দ্রুত তথ্য বিনিময় করতে পারি। আমাদের আত্মসমালোচনাও দরকার।'
এ সময় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।