প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:৪১
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সর্বজনের শ্রদ্ধা
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানীর মিরপুরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে জড়ো হতে শুরু করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকজন সারিবদ্ধভাবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা বেশিরভাগ মানুষই শোকের প্রতীক কালো পোশাক পরে এসেছেন। তাদের হাতে ফুলের তোড়াসহ ছোট ছোট প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন দেখা যায়।
এর আগে সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও ৭টা ৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর জনসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। পরে দলে দলে যোগ দেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা মিছিল সহযোগে আসতে থাকেন।
সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি এখনো ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সেই অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালিয়ে যাবো।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাজাকার আলবদররা পরিকল্পিতভাবে দেশের মেধাবী সন্তানদের হত্যা করেছে। তারা এখনো নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। কোনোভাবেই যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেওয়া যাবে না।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক নুরুল হুদা বলেন, বুদ্ধিজীবী আমরা কাদের বলকো? যারা শুধু স্কুল-কলেজে পড়িয়েছেন বা যারা সাংবাদিকতা করেছেন তাদের? কিন্তু গ্রামীণ স্তরেও অনেক বুদ্ধিজীবী ছিলেন। তাদের লেখনী ও অবদান সম্পর্কে লোকসমীক্ষা হওয়া প্রয়োজন। বাংলা একাডেমি সেই কাজটি করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে বিভিন্ন সময়ে নানা অপপ্রয়াস চলেছে। তাদের মধ্যে যেন একটা উপলব্ধি জাগ্রত হয় যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গঠনে একটি স্বপ্ন রেখে গেছেন।
‘সেই সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য যে প্রত্যয়, সেই প্রত্যয় থেকেই আমরা আজ এখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছি। যতদিন অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে আমরা এখানে আসবো।’ যোগ করেন ঢাবি উপাচার্য।