রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে

প্রকাশ : ২৬ মে ২০২২, ০৯:৫৪

বন্ধ পাটকলের দায়-দেনা পরিশোধে ৫৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ

বন্ধ পাটকলের দায়-দেনা পরিশোধে ৫৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ
অনলাইন ডেস্ক

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বন্ধঘোষিত বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি)-এর মিলসমূহের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাওনা, কাঁচা পাট সরবরাহকারীদের পাওনা এবং অন্যান্য পাওনা (ষ্টোর সরবরাহ/ক্যারিং সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারীদের) বাবদ মোট ৫৭৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। ২০২১-২২ অর্থবছরের অর্থ বিভাগের সংশোধিত বাজেটে ‘পরিচালন ঋণ’ খাত হতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি) এর অনুকুলে ‘পরিচালন ঋণ’ হিসেবে এই টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

সম্প্রতি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈকত চন্দ্র হালদার এই তথ্য জানান।

তিনি জানান, বরাদ্দকৃত অর্থ ১ হাজার ৯৮০ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাওনা, ২ হাজার ২১৭ জন কাঁচা পাট সরবরাহকারীদের পাওনা এবং ১ হাজার ১১৯ জন ষ্টোর সরবরাহ/ক্যারিং সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারীদের পাওনা টাকা ব্যতিত অন্য কোন খাতে ব্যয় করা যাবে না। বরাদ্দকৃত অর্থ সংশ্লিষ্ট মিলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের, কাঁচা পাট সরবরাহকারী এবং ষ্টোর সরবরাহ/ক্যারিং সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারীদের সুনির্দিষ্ট ব্যাংক এ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ১০ মে তারিখে স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ২০ বছরে (৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ) ৫ শতাংশ সুদে ষান্মাসিক কিস্তিতে এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। আর এ জন্য অর্থ বিভাগের সঙ্গে বিজেএমসিকে একটি ঋণ চুক্তি সম্পাদন করতে হবে।

চিঠিতে বিশেষভাবে বলা হয়, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী/কাঁচাপাট সরবরাহকারী/ষ্টোর সরবরাহ বা ক্যারিং সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারীদের পাওনা পরিশোধকালে বিজেএমসি কর্তৃপক্ষ তাদের পাওনার বিষয়টি সরকারি বিধি-বিধানের আলোকে পুনরায় যাচাই বাছাই করে নিশ্চিত হয়ে পাওনা পরিশোধ করবে। পাওনা পরিশোধকালে পাওনার বিষয়ে কোন অসঙ্গতি দৃষ্টিগোচর হলে বিজেএমসি/মিল কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে তা সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকারের বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে। বিধি বহির্ভূতভাবে কোন অর্থ পরিশোধ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন। কোন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংশ্লিষ্ট মিল অথবা বিজেএমসি’র বিরুদ্ধে কোন মামলা করে থাকলে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী মামলার সকল ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পর আদালতের রায় অনুযায়ী অথবা উক্ত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিকট হতে মামলা প্রত্যাহারপূর্বক লিখিত আবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে তাদের পাওনা পরিশোধের বিষয় বিবেচনা করতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মিল কর্তৃপক্ষের নিকট ব্যক্তিগত দায় বা নিরীক্ষা আপত্তি থেকে থাকলে উক্ত আপত্তি নিষ্পত্তি হবার পর যথাযথ বিধি-বিধানের আলোকে পাওনাদি পরিশোধ করতে হবে। অব্যয়িত অর্থ পরবর্তিতে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করতে হবে।

এছাড়াও, বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের সাত দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মিলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মতর্কা-কর্মচারী/কাঁচা পাট সরবরাহকারী/ষ্টোর সরবরাহ বা ক্যারিং সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারীদের তালিকাসহ বিস্তারিত ব্যয় বিবরণী অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে।

সূত্র: জাগো নিউজ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়