প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৮
দেশে সবুজ কারখানার সংখ্যা বেড়ে ২০৪
দিন দিন দেশে গ্রিন ফ্যাক্টরি বা পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার সংখ্যা বাড়ছে। নতুন তালিকায় সর্বশেষ যোগ হয়েছে আরও দুটি কোম্পানি। নতুন যোগ হওয়া কোম্পানিগুলো নিয়ে দেশে সবুজ কারাখনার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৪টিতে।
সম্প্রতি তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাক্সারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, গ্রিন ফ্যাক্টরির তালিকায় যুক্ত হওয়া নতুন দুটি কোম্পানিই গাজীপুরে অবস্থিত। এর মধ্যে রয়েছে গাজীপুর পূবাইলের ইন্টিগ্রা ড্রেসেস লিমিটেড। কোম্পানিটি ৯৯ পয়েন্ট পেয়ে প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে। কোম্পানিটি বিশ্বের প্রথম ১০টি সবুজ কারখানার মধ্যে ৪ নম্বরে অবস্থান করছে। এ ছাড়া, গাজীপুর শ্রীপুরের এসএম অ্যাক্সেসরিজ পেয়েছে সবুজ কারখানার সনদ। কোম্পানিটি গোল্ড সনদ অর্জন করেছে।
বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। তাদের মধ্যে অন্যতম একটি যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। তারা এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন-‘এলইইডি’ বা ‘লিড’ নামে পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। তৈরি পোশাক খাতের বিদেশি ক্রেতারা কোনো কারখানা থেকে পোশাকপণ্য কেনার সময় এলইইডির গ্রিন ফ্যাক্টরির সার্টিফিকেটকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে থাকে।
বিজিএমইএর তথ্যমতে, বাংলাদেশে সবুজ কারখানা বা গ্রিন ফ্যাক্টরির সংখ্যা ২০৪টি। এর মধ্যে প্ল্যাটিনাম ক্যাটাগরিতে সনদ রয়েছে ৭৪টি। এ ছাড়া গোল্ড ক্যাটাগরিতে ১১৬টি, সিলভারে ১০টি। আর সার্টিফাইড চারটি। তা ছাড়া এখনো গ্রিন ফ্যাক্টরি হতে রেজিস্ট্রেশন বা পাইপলাইনে রয়েছে অনেক কারখানা। মোট ১১০-এর মধ্যে যেসব কোম্পানি ৮০ বা তার চেয়ে বেশি নম্বর পায় তারা প্লাটিনাম সনদ লাভ করে। কোনো কারখানা ৬০ থেকে ৭৯ নম্বর পেলে গোল্ড সনদ পায়, ৫০ থেকে ৫৯ পেলে পায় সিলভার সনদ। আর ৪০ থেকে ৪৯ পেলে পায় সার্টিফায়েড সনদ।
বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল জানান, গ্রিন ফ্যাক্টরিতে আমাদের দেশ এখনো শীর্ষে রয়েছে। নতুন সনদ পাওয়া দুটিসহ এ বছর গ্রিন ফ্যাক্টরির তালিকায় যুক্ত হয়েছে ২৩টি কোম্পানি। সব মিলিয়ে দেশে এখন গ্রিন ফ্যাক্টরির সংখ্যা ২০৪টি।