প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:০৬
নাইকো দুর্নীতি মামলা, যা বললেন কানাডিয়ান পুলিশ কর্মকর্তারা
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে কানাডার দুই পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত হয়েছেন। মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন কানাডিয়ান রয়েল পুলিশের সদস্য লয়েড শোয়েপ। সোমবার (৩০ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে শুরু হয় তার সাক্ষ্যগ্রহণ।
সাক্ষ্যতে তিনি বলেন, কানাডার তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি নাইকোতে তৎকালীন সরকারের কিছু কর্মকর্তা দুর্নীতি করতে ইন্ধন জোগায়। আমরা এ দুর্নীতির বিষয়ে জানতে পারি গণমাধ্যমের নিউজ দেখে। নাইকোর কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার দায়ে নাইকো রিসোর্সেস কানাডায় দুর্নীতির দায়ে সাজপ্রাপ্তও হয়েছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টায় কেরানীগঞ্জ অস্থায়ী আদালতে যান কানাডিয়ান রয়েল পুলিশের দুই সদস্য কেবিন দুগ্গান ও লয়েড শোয়েপ। তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করছেন ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান। এরপর তাদের জেরা করবেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
গত ২৮ অক্টোবর রাতে আলোচিত এ মামলায় সাক্ষ্য দিতে ঢাকায় আসেন তারা। রবিবার অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও দুদকের প্রধান আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের সঙ্গে বৈঠক করেন কানাডিয়ান রয়েল পুলিশের ওই দুই সদস্য। এর আগে ১৯ অক্টোবর তাদের সাক্ষ্য দিতে সমন জারি করেন ঢাকার বিশেষ আদালত।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতা অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো: শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো: শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।