প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৫৯
অস্ত্রের ঝনঝনানি করতে দেবো না
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি যাতে সন্ত্রাসীরা করতে না পারেন সেদিকে কঠোর নজরদারি থাকবে। এছাড়াও রাজধানীকে নিরাপদ রাখতে যা যা করা প্রয়োজন সবকিছুই করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সোমবার (২ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন নবনিযুক্ত ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা ‘মিট দ্য প্রেস’ আয়োজন করে ডিএমপি।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র রাজধানীতে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি হয়ে থাকে। আসছে নির্বাচনে যাতে কেউ বা কোনো সন্ত্রাসীগোষ্ঠী অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি করতে না পারে। অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করতে ডিএমপির পুলিশ সদস্যদের যথেষ্ট সাহস ও শক্তি রয়েছে। এটি আমাদের গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। এছাড়াও রাজধানীকে নিরাপদ রাখতে যা যা করা প্রয়োজন সবকিছুই করবে ডিএমপি।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন হচ্ছে এবং সর্বশেষ তেজগাঁওে সন্ত্রাসীদের গুলিতে একজন নিহত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন কমিশনার হিসেবে আপনি কী পদ্ধতি গ্রহণ করবেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, আপনারা জানেন যে জামিন একটি বিচারিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় একজন অপরাধী আদালত থেকে বিচার পেতে পারে। কিন্তু পুলিশের তখনই করার থাকে যদি কোনো ব্যক্তি অপরাধে জড়িয়ে পড়ে বা অপরাধ করতে উদ্বুদ্ধ করে বা অপরাধ সংগঠন করে থাকে। সেই ক্ষেত্রে আমি বলতে চাই, একজন অপরাধী সে ছোটই হোক বা বড়ই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর। এবং যারা জামিনে বেরিয়ে আসছে তাদেরকেও কঠোর মনিটরিংয়ে রাখার জন্য পুলিশে সব ইউনিটে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের অন্যান্য ট্রেডিশনাল ক্রাইম থেকে একটু আলাদা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। পুলিশের নৈমিত্তিক কাজ চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই ও রাহাজানি ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা এবং জনশৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে ত্রাইমের যে ধরণ গতানুগতিক ধারা বদলে সেটি নতুন দিকে ধাবিত হচ্ছে। এর একটি বড় কারণ হলো দেশে ও সারা বিশ্বে প্রযুক্তির উন্নয়ন। সেই চৃরি-ডাকাতি-ছিনতাই ছাপিয়ে আজ আমাদের নতুন সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে সাইবার ক্রাইম। এই সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে ডিএমপি বিভিন্ন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন কর্মপন্থা নিয়েছে।
ডিএমপির জনবল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জনবল রয়েছে ৩৪ হাজার। সেটি যদি রাজধানীর ২ কোটি ২৪ লাখ জনগণের জন্য ভাগ করি তবে মহর অনুযায়ী আমাদের জনবল খুব কম। তারপরও ডিএমপির সদস্যরা যেভাবে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে, দক্ষতার সঙ্গে অপরাধ দমন করে যাচ্ছে এতে আমি মনে করি, অন্যান্য মেট্রোপলিটন পুলিশের থেকে ডিএমপি অনেক দক্ষ ও যোগ্য। এমন কি বিদেশের সঙ্গে তুলনা করলেও ডিএমপি অনেক উন্নত বলে আমি মনে করি। আমরা ঢাকাকে যেকোনো উপায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।