বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪  |   ৩২ °সে

প্রকাশ : ২৩ মে ২০২২, ১৮:৫০

দখল ও দূষণ চিহ্নিত করে নদীর জায়গা ফিরিয়ে দেবো : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

দখল ও দূষণ চিহ্নিত করে নদীর জায়গা ফিরিয়ে দেবো : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদীর নাব‍্য ফিরিয়ে আনা, অবৈধ দখল ও দূষণের বিরুদ্ধে কাজ করছি। নদীমাতৃক বাংলাদেশকে ধরে রাখতে চাই। নদীর প্রবাহ ঠিক রাখতে ড্রেজার বেইজ স্থাপন করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী সোমবার বরিশালে বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার বেইজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রাচ‍্যের ভেনিস-খ‍্যাত বরিশাল এখন সে জায়গায় নাই। এখানকার নদীনালা খালগুলো পুনরুদ্ধার করতে হবে। বরিশালে অত‍্যাধুনিক নদী বন্দর স্থাপন করা হবে। দক্ষিণাঞ্চলের অন‍্যান‍্য বন্দরগুলোর আধুনিকায়ন করা হবে। প্রশিক্ষিত জনবল ও নিরাপদ নৌযানের মাধ‍্যমে নৌঝুঁকি ধীরে ধীরে শূণ‍্যের কোঠায় নিয়ে আসব।

খালিদ মাহমুদ বলেন, আমরা মানুষকে দখল ও দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা করতে পেরেছি। নদীর দখল ও দূষণকে চিহ্নিত করে নদীর জায়গা নদীর কাছে ফিরিয়ে দেবো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর নৌপথ খননের জন্য ৭টি ড্রেজার এনেছিলেন। এরপর দীর্ঘ সময় সরকারি ড্রেজার আসেনি। নৌপথ খননের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ৪০টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. ওয়াহিদুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. এনামুল হক, পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম ।

উল্লেখ্য, দ্রুত ও স্বল্প সময়ে বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার মেরামত, সংরক্ষণ ও অপারেশনে সহায়তার লক্ষ্যে সরকার দেশে পাঁচটি ‘ড্রেজার বেইজ’ স্থাপন করছে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে বরিশাল ড্রেজার বেইজের নির্মাণ শুরু হয়, যার নির্মাণ ব্যয় প্রায় ২৪ কোটি টাকা। এতে ছয়তলা অফিস ভবন, পাঁচতলা স্টাফ ডরমিটরি রয়েছে।

বরিশালের ড্রেজার বেইজটি বরিশাল এলাকাসহ ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা এলাকায় নৌপথ খননে তদারকি সহজতর হবে। বরিশাল লঞ্চঘাটসহ অন্যান্য ঘাটগুলোর ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী আরিচায় অবস্থান করে সার্বক্ষণিক ও সুষ্ঠুভাবে বন্দর কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।

ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জে ড্রেজার বেইজ উদ্বোধন করা হয়েছে। খুলনায় ড্রেজার বেইজ উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। নতুন আরও ছয়টি ড্রেজার বেইজ নির্মাণের কাজ চলছে।

সূত্র: দেশ রূপান্তর

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়