মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৫ °সে

প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ০৩:১০

শতবার পেছাল সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবেদন

শতবার পেছাল সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবেদন
অনলাইন ডেস্ক

আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় ১০০ বার তারিখ পেছাল।

আজ সোমবার (৭ আগস্ট) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন। আদালতে শেরে বাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানান।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিকুল আলম ভোরের কাগজকে জানান, মামলার প্রতিবেদন দাখিল করতে পারিনি। মামলার তদন্ত চলছে। এটি একটি ক্লুলেস আলোচিত মামলা। তাই সময় লাগছে।

অন্যদিকে নিহত সাগরের মা সালেহা মনির ভোরের কাগজকে বলেন, এর আগে প্রতিবেদন পেছানোর সুবর্ণজয়ন্তী, হিরকজয়ন্তী পার করেছে। এখন প্রতিবেদন না দিয়ে সেঞ্চুরি পালন করবে। আমি অনেক আশা করেছিলাম, শততম প্রতিবেদন দাখিলের দিনে হয়তো চমক দেখাবে। কিন্তু আবার আশাহত হলাম। ১১ বছর ধরে তদন্ত করছে। কিন্তু খুনিদের চিহ্নিত করতে পারেনি র‌্যাব। র‌্যাব অনেক ক্লুলেস-আলোচিত মামলার তদন্ত করতে পারল, আর এটার করতে পারছে না কেন। যাদের গ্রেপ্তার করেছে তারা নিরীহ। এটা আসলে আইওয়াশ। আসল খুনিদের গোপন রাখতে প্রতিবেদন দেয়া হচ্ছে না? তারা না পারলে বলে দিক পারব না। আর হাইকোর্ট থেকেও একটা সময় বেঁধে দিক। যেন ওই সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়।

৭২ বছরের বৃদ্ধা সালেহা মনির আরো বলেন, ছেলে খুন হওয়ার পর এখনো কবর জিয়ারত করিনি। সংকল্প করেছিলাম ছেলের আসল খুনিদের দেখব। রায়ের পর বিচার নিয়ে ছেলের কবর দেখব। রুনির মা তো খুনিদের না দেখেই মারা গেল। বেঁচে থাকতে আমিও দেখে যেতে পারব কিনা জানি না। তবে একদিন ছেলে হত্যার বিচার হবে।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবু আব্দুল্লাহ বলেন, অনেক সময় পার হয়ে গেল। সাগর-রুনি হত্যা মামলাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা উচিত। মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব যদি তদন্ত করতে না পারে তাহলে অন্য কোনো সংস্থা দিয়ে তদন্ত করানো যেতে পারে

এরআগে, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নিজেদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। এ ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ আট জনকে আসামি করা হয়। বাকি আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদকে আসামি করা হয়।

এ মামলার তদন্তে প্রথমে ওই থানার একজন এসআই নিয়োজিত ছিলেন। চার দিন পর ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ডিবি পুলিশ দুই মাসে ব্যর্থ হলে হাইকোর্টের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার যায় র‍্যাবে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়