প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৩, ২৩:৫০
ঢাকা-১৭ উপ-নির্বাচনে ভোট পড়েছে ১১.৫১ শতাংশ
ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে মোট ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান।
সোমবার (১৭ জুলাই) রাতে ১২৪টি কেন্দ্রের এ ফলাফল ঘোষণাকালে তিনি তথ্য জানান। বিকেল ৫টার পর থেকে ধীরে ধীরে বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল তুলে ধরেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, মোট ভোট পড়েছে ৩৭ হাজার ৪২০ টি। এর মধ্যে বৈধ ভোটা ৩৭ হাজার ৩৭ টি। বাতিল হয়েছে ৩৮৩টি। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত নৌকা প্রতীকে ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৬০৯ ভোট।
এছাড়া জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সিকদার আনিসুর রহমান এক হাজার ৩২৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছেন। এছাড়া জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী কাজী মো. রাশিদুল হাসান পেয়েছেন ৯২৩ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের ছড়ি প্রতীকের প্রার্থী মো. আকতার হোসেন পেয়েছেন ৬৪ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন পেয়েছেন ৪৩ ভোট, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী শেখ হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ২০২ ভোট ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. তারেকুল ইসলাম ভূঞাঁ পেয়েছেন ৫২ ভোট।
এর আগে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর পর বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের অলস সময় কাটাতে দেখা যায়। ধারণা ছিল, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। কিন্তু দুপুর গড়ালেও বিভিন্ন কেন্দ্র ছিল অনেকটাই ফাঁকা। এত কম ভোটার উপস্থিতি নিয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও হতাশা ব্যক্ত করেন।
ভোটগ্রহণ শেষে বিকেলে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা-১৭ আসনে ঠিক কত শতাংশ ভোট পড়েছে সে তথ্য আমরা পাইনি। তবে খুবই কম ভোট পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ শতাংশ হতে পারে, সর্বোচ্চ ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ ভোট পড়তে পারে।
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন আটজন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীয়ত মোহম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আকবর হোসেন দলীয় মনোনয়নে নির্বাচনে অংশ নেন। অন্যদিকে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম এবং তারিকুল ইসলাম স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন।
এরমধ্যে ভোটের প্রচারণায় মোহম্মদ আলী আরাফাত, হিরো আলম ও সিকদার আনিসুর রহমান সবচেয়ে বেশি তৎপর ছিলেন।