প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৩, ২২:২৮
‘যে নামেই আসুক জঙ্গিরা বাংলাদেশে স্থান পাবে না’
আমরা কয়েক দিন আগেই নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রধানকে গ্রেপ্তার করেছি। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলাও হয়েছে। আমরা আশা করছি যে নামেই আসুক না কেন জঙ্গি বা সন্ত্রাসবাদীরা বাংলাদেশে স্থান পাবে না।
শনিবার (১ জুলাই) সকালে গুলশানে হলি আর্টিসান জঙ্গি হামলায় নিহত শহীদ দুই পুলিশ সদস্যের মোড়ালে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
ডিএমপিন প্রধান বলেন, হলি আর্টিসান হামলায় বিদেশিসহ মোট ২২ জন নিহত হন। এই ঘটনায় সিটিটিসি তদন্ত করে। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। যদিও এ ঘটনার অনেক অভিযুক্ত বিভিন্ন সময় জঙ্গি হামলা করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। আর বাকিদের সাজা হয়ে গেছে। আমরা এখন অনেকটা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। আশা করি ভবিষ্যতে জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ ধরে রাখতে পারব।
তিনি আরো বলেন, গত ২০১৬ সালের পহেলা জুলাই হলি আর্টিসানে বিদেশি নাগরিকদের অতর্কিতভাবে জঙ্গিরা জিম্মি করে তাদের হত্যা করে। এ সময় তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে দুজন সিনিয়র পুলিশ সদস্য শহীদ হোন। ঘটনাটি আমাদের মনে এখনো দগ্ধ ঘায়ের মতো জ্বলে। দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক চক্রান্তে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করতে বিগত ২০১৫-১৬ সালে বিভিন্ন জঙ্গি হামলা ঘটানো হয়। হলি আর্টিসান হামলার পর আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরা উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে ভয়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে থাকে।
গোলাম ফারুক বলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুলিশ ও জনগণ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। সমস্ত উন্নয়ন সহযোগীদের স্পষ্ট বার্তা দেয়া হয় আমরা বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিদের উৎখাত করব, ফিরে আসুন। তার পর আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরা দেশে ফিরে আসেন। এরপর থেকে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করা, গ্রেপ্তার করা ও বিচারে সোপর্দ করা অব্যাহত ছিলো। যারা ফলে সমগ্র বাংলাদেশে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আছে। জঙ্গিবাদ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি, আমরা বলব যে এইটা নিয়ন্ত্রণে আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জেএমবি, নব্য জেএমবিসহ জঙ্গিবাদ নাই বলেও চলে। তবে জঙ্গিবাদের সুপ্ত বীজ লুকিয়ে থাকতে পারে।
অপর আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটিইউ, সিটিটিসি ও র্যাব জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অনবরত কাজ করে যাচ্ছে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ ও খোঁজ খবর রাখার কাজ করছে। এছাড়া জঙ্গিবাদের বিষয়ে মানুষ জনকে সচেতন করার লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন সময় নানা কর্মকাণ্ড হাতে নিয়েছি ও করেছি। যারা দুই চার জন ভুল পথে যাওয়া চিন্তাভাবনা ছিলো, তাদেরকে যদি ইসলামের সঠিক আদর্শটা তুলে ধরতে পারি, আমাদের বিভিন্ন মাওলানা সাহেব ও বিজ্ঞ আলেম সমাজ যারা আছেন তারও বিভিন্ন ধর্ম সভায় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। আমরা আশা করছি এভাবে আমাদের মুষ্টিমেয় তরুণ ছেলে-মেয়ে বিপথে গিয়েছিলো তারা ফিরে আসবে।