প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৩, ০০:৫২
শান্তিরক্ষীদের নিয়ে অ্যামনেস্টির আহ্বান উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আহ্বানকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) দুপুরে সিলেটের খাদিমনগর ইউনিয়নে অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে গত শুক্রবার (২৩ জুন) এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, বাংলাদেশ তিন দশক ধরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সদস্যদের পাঠাচ্ছে। যে দেশগুলো সবচেয়ে বেশি শান্তিরক্ষী পাঠায় তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী বিশেষ করে র্যাবেের অতীতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বিবেচনায় নিলে বিষয়টি উদ্বেগের।
বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখাই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এমন বিবৃতির মূল উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেন ড. মোমেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব তাদের (অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের) মনগড়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসব কথা বলছে। তারা চায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী না গেলে আর্মির মধ্যে একটা অসন্তোষ দেখা দেবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী বাহিনীর যেসব সদস্যকে নেওয়া হয়, তা অনেক যাছাই-বাছাই করেই নেওয়া হয়। এটা বাংলাদেশ জানে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দেশি-বিদেশিদের ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেসব দেশ উন্নতি করে সেসব দেশকে দাবিয়ে রাখতে কিছু দেশি-বিদেশি শক্তি কাজ করে। বাংলাদেশ এখন বিদেশিদের কাছ থেকে অল্প টাকা নেয়। বিদেশিরা চায় বাংলাদেশ তাদের কাছে হাত পাতবে, সাহায্য নেবে। তারা তাদের ইচ্ছেমতো বাংলাদেশকে পরিচালিত করতে পারবে।
তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে যে কোনো কারও অভিযোগ থাকতে পারে, কিন্তু একটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা তো ঠিক নয়।