প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৩, ০৪:১৭
লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছি, ভোট দিলে থাকবো না হলে নয়: প্রধানমন্ত্রী
লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছি, জনগণ ভোট দিলে থাকবো না হলে নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২১ জুন) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন যারা সহ্য করতে পারছে না ভোট নিয়ে তারাই সমালোচনা করছে। লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছি, জনগণ ভোট দিলে থাকবো না হলে নয়।
দেশের বাজার প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, মজুদদারি-কালোবাজারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মানুষের কষ্ট লুকিয়ে লাঘবের জন্য চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে বলে যারা প্রচার চালায় তাদের কড়া সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আমাদেরকে ভোট চোর বলে তারা তো ভোট ডাকাত।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর ইলেকশন বলে কিছু ছিল না। ভোটের অধিকার ছিল না। আমরাই আন্দোলন করে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি। এখন অনেকে অনেক কথা বলতে পারে। তাদের কথা আলাদা। তারা একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, আমরা ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করলাম আমাদেরই বলে ভোট চোর। আমাদের যারা এটা বলে তারা তো ভোট ডাকাত।
দেশের সচেতন নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমি মনে করি দেশের যে সচেতন নাগরিক তারা এটাকে গুরুত্ব দেবেন না। তারা বিবেচনা করবে ২০০৯ সালের আগে দেশের অবস্থা কী ছিল আর এখন কী দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে অর্থনীতির ওপর চাপ পড়েছে। কারণ, তখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ছিল। এরপর মরার ওপর খাড়ার ঘা হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশন। এর ফলে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। শুধু আমাদের দেশে না, বিশ্বব্যাপী বেড়ে গেছে। সারাবিশ্বে এই অস্থিরতা চলছে। আর বাংলাদেশ- একটা ছোট্ট ভূখণ্ডে বিশাল জনগোষ্ঠী। ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা- তাদের সবকিছু আমাদের পূরণ করতে হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের জনসংখ্যার তুলনায় কিন্তু আমাদের চাষ উপযোগী জমি সীমিত। তারপরও আমরা খাদ্য উৎপাদন করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের হাতে যেগুলো ছিল সেগুলো আমরা করতে পেরেছি। কিন্তু যেসব জিনিস বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে সেসব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। যার আঘাত আমাদের ওপর এসে পড়ছে। তারপরও আমাদের দেশের মানুষের যেন কষ্ট না হয় আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। এমন পরিস্থিতিতে দেশের নির্বাচন নিয়ে একেকজন একেক কথা বলা স্বাভাবিক।
গত ১৩ জুন চার দিনের সফরে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৪ ও ১৫ জুন অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’-এ যোগদান শেষে ১৭ জুন দেশে ফেরেন তিনি।
সুইজারল্যান্ডে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।