প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৩, ০৩:২৩
প্রতিটি জেলা শহরে হবে শিশু হাসপাতাল: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভবিষ্যতে দেশের প্রতিটি জেলা শহরে শিশু হাসপাতাল স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বর্তমানে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে শিশু হাসপাতাল স্থাপনের জন্য নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বুধবার (৭ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। এ সংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণ। এই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ওষুধের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণে সরকার সতর্ক রয়েছে। নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের বিরুদ্ধে সারাদেশে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক জানান, দেশের পাঁচটি বিভাগীয় শহরে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সৌদির অর্থায়নে বার্ন ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি ইতোমধ্যে অনুমোদন হয়েছে। যা আগামী ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকারি দলের সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিদ্যমান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়নকল্পে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৫৯টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ ও ছয় ক্যাটাগরির এক হাজার ৫৯০টি পদ সৃজন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩৬৭ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস, ২০২২ উপলক্ষে ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর ২৪/৭ নিরাপদ প্রসবসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রথম ফেজে ৫০০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রকে মডেল কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং নিরাপদ প্রসবসেবা প্রদান করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় ফেজে আরও এক হাজার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রকে মডেল ইউনিয়নে রূপান্তরের কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে বর্তমানে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন তিন হাজার ৩৬৬টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, পুরোনো ২৪টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং নবসৃষ্ট ১৩০টি ১০ শয্যাবিশিষ্ট ইউনিয়ন মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, প্রজনন স্বাস্থ্য, কৈশোরকালীন স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও সাধারণ রোগীর সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।