প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৩, ০২:৪১
বছরে ৩ লাখ টাকার চিকিৎসা সহায়তা পাবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য সরকারি সহায়তার পরিমাণ এক লাখ টাকা বাড়ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ সহায়তার পরিমাণ বছরে দুই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করছে সরকার।
সোমবার (৫ জুন) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ কথা জানান।
সরকারি হাট-বাজারের ইজারার আয়ের অর্থের একটা অংশ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জটিল রোগের চিকিৎসায় ব্যয় করে থাকে সরকার। এজন্য একটি নীতিমালা রয়েছে। ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে সরকারি হাট-বাজারের ইজারার আয়ের ৪ শতাংশ অর্থ ব্যয় নীতিমালা, ২০২১’ অনুযায়ী চিকিৎসার সহায়তা পেয়ে থাকেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
মন্ত্রী বলেন, সোমবার সকালের সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার খরচ বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন সরকারের সম্মতি নিয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। আমাদের এখন আর্থিক সক্ষমতা আছে, এটি অচিরেই করা হবে।
তিনি আরও বলেন, মেডিকেল বোর্ড যদি মনে করে আরও টাকা লাগবে তাহলে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুসারে যত টাকা প্রয়োজন তা ব্যয় করা যাবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাঁচ বছর ধরে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হলেও অনেকেই বিষয়টি ভালোমতো জানেন না। এজন্য অনেক সময় গ্যাপ হয়ে যায়। কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধাই যেন সেবাবঞ্চিত না হন। চিকিৎসকদের কাছে আবেদন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তারা যেন সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব দেখান।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে কোনো স্থান থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই করা যাবে। মুক্তিযোদ্ধারা কার্ড নিয়ে গেলেই হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সব সরকারি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় সময় সময় জটিল ও সাধারণ চিকিৎসার জন্য বছরে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকার চিকিৎসা সুবিধা দিতে পারবে।
একই সঙ্গে বলা হয়েছে, বিশেষায়িত হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জটিল রোগের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে ওই পরিমাণের (৭৫ হাজার টাকা) চেয়ে বেশি টাকার প্রয়োজন হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সুপারিশে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করা যাবে।
মুমূর্ষু রোগীর জরুরি অপারেশন ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিবেচনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করা যাবে। তবে এ বিষয়ে পরবর্তীসময়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভূতাপেক্ষ অনুমোদন নিতে হবে বলেও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব খাজা মিয়া এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।