মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে

প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৩, ০৬:২৩

লোডশেডিং ও মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিচ্ছি

লোডশেডিং ও মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিচ্ছি
অনলাইন ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা জানি, বিদ্যুতের লোডশেডিং ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি অর্থাৎ মূল্যস্ফিতির কারণে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এই সংকট সারা বিশ্বের। আমরা সংকট কাটাতে পদক্ষেপ নিচ্ছি। আশা রাখি দ্রুতই সমাধান করতে পারব।

আজ রবিবার (৪ জুন) সকালে ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা রুটে আন্তঃনগর চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানের অপরপ্রান্ত চিলাহাটি প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার ও রাবেয়া আলীম, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মমতাজুল হক সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। রেল সচিব হুমায়ুন কবির এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে একদিকে দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি অন্যদিকে বিদ্যুৎ সংকটে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত কিভাবে এই সংকট সমাধান করা যায়। আজকে এই সংকট শুধু আমাদের বাংলাদেশের নয়। সারা বিশ্বেই সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য জনগণকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, সমালোচকরা যে যাই বলুক সরকার বাজেট দেয় ও বাস্তবায়ন করে দেখায়। এই বাজেট বাস্তবায়নে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আওয়ামী লীগ সেটা বাস্তবায়ন করতে পারবে। আর আমাদের দেশের কিছু লোকের কাজেই হচ্ছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করে যাওয়া।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেল সেবা কে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করছি। এজন্য আমরা বহু প্রকল্প নিয়েছি। আগামীতে বরিশাল পায়রাবন্দর পর্যন্ত আমরা রেল চালু করব। এভাবে সারাদেশে আমরা রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করছি। ট্রেন দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য যাত্রী ও রেল কর্তৃপক্ষ সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সব রেল ক্রসিং এ গার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ রেল আমাদের জাতীয় সম্পদ। সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়