প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৩, ০১:৩৫
কিডনি ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা ঈদে যা মেনে খাবেন
কোরবানি ঈদে কমবেশি সবাই মাংসের বাহারি সব পদ খান। তবে যারা দীর্ঘমেয়াদী সব রোগে ভুগছেন অর্থাৎ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনিসহ বিভিন্ন কঠিন রোগে ভুগছেন তাদের উচিত নিয়ম মেনে ঈদে খাবার খাওয়া।
না হলে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। জেনে নিন ঈদে হৃদরোগ ও কিডনির সমস্যাসহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্তরা কীভাবে সুস্থ থাকবেন-
অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শুধু গরু নয়, মহিষ, ছাগল ও খাসির মাংসে থাকে উচ্চমাত্রার প্রোটিন ও ফ্যাট, তাই অতিরিক্ত মাংস খেলে স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও কোলেস্টেরল এর মাত্রা বেড়ে যায়। বিশেষ করে যারা আগে থেকেই এসব রোগে ভুগছেন তাদের ঝুঁকি আরও বেশি।
পোলাও, বিরিয়ানি কম খাবেন। গরু বা খাসির মাংস খাওয়া যাবে, পরিমাণটা অতিরিক্ত যাতে না হয় ও চর্বি যেন কম থাকে। আর মাংস খাওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রেখে পরিমিত পরিমাণে ও চর্বি ছাড়িয়ে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
সারাবছর তারা যে ধরনের নিয়ম কানুন পালন করেন খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে, কোরবানির সময়ও সেভাবে চলাই ভালো। কোরবানির মাংস একটু-আধটু খেলে শরীরের যে খুব ক্ষতি হয়ে যাবে তা নয়।
তবে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যাদের ওজন বেশি, তাদের ক্ষেত্রেও উচিত ঈদের সময় খাওয়ার ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
অন্যদিকে যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন যেমন- ক্রনিক রেনাল ফেইলিওর, তাদের প্রোটিন-জাতীয় খাদ্য কম খেতে বলা হয়। তাই মাংস খাওয়ার বিষয়ে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
কোনোভাবেই অতিরিক্ত মাংস খাওয়া ঠিক হবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, সারা বছরের মতো ঈদের সময়ও একই খাবার খাওয়াই ভালো।
অন্যান্য রোগীরা যা করবেন
যাদের এনাল ফিশার ও পাইলস-জাতীয় রোগ আছে; তাদের পায়ুপথে জ্বালাপোড়া, ব্যথা ইত্যাদি বাড়তে পারে। এমনকি পায়ুপথে রক্তক্ষরণও হতে পারে।
তাই প্রচুর পরিমাণে পানি, শরবত, ফলের রস, ইসবগুলের ভুসি ও অন্যান্য তরল খাবার বেশি খাবেন। পেটে গ্যাস হলে ডমপেরিডন, অ্যান্টাসিড, ওমিপ্রাজল, প্যান্টোপ্রাজল-জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন।
যাদের আইবিএস আছে, তারা দুগ্ধজাত খাবার পরিহার করুন। দাওয়াতে গেলে পরিমিত খাবেন। অতিভোজন পরিহার করার চেষ্টা করবেন। হয়তো অনেক খাওয়া-দাওয়া টেবিলে সাজানোই থাকবে। তবে খেতে বসলেই যে সব খেতে হবে তা নয়। পরিমাণ মেনে তবেই খাবার গ্রহণ করুন।
রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়বেন না। খাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা পর বিছানায় যাবেন। খাবারের ফাঁকে ফাঁকে পানি খাবেন না। এতে হজম রসগুলো পাতলা হয়ে যায়। ফলে অনেক সময় হজমে অসুবিধা হয়। তাই খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা পর পানি পান করুন।