প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৩, ০২:১২
ডায়াবেটিস রোগীরা কোন কোন ফল খেতে পারবেন?
বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি ফল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও, ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত শরীর বুঝে তবেই ফলের স্বাদ নেওয়া। কারণ কিছু কিছু ফল আছে যেগুলো খেলে তাৎক্ষণিক রক্তে শর্করার মাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত বুঝে শুনে ফল খাওয়া।
এ বিষয়ে ভারতের বোম্বে হাসপাতালের ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা. রাহুল বাক্সি জানান, ডায়াবেটিস রোগীরাও চাইলে নিয়মিত ফলে খেতে পারবেন। অনেক ফলই ডায়েটারি ফাইবার, পটাসিয়াম, ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ। সেগুলোতে চর্বি, সোডিয়াম ও ক্যালোরি কম থাকে।
ডা. বাক্সি ব্যাখ্যা করেন, ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে ফল খাওয়া সম্পর্কে অনেক মিথ আছে। অনেক পুষ্টিবিদ হয়তো ফল পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে বলেন।
কেউ কেউ ফলের ডায়েট দেন, কেউ আবার আস্ত ফল নয় ফলের রস ও স্মুদি খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে পরিমাণ বুঝে যদি কোনো রোগী নিয়মিত ফল খান তাহলে অবশ্যই তা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াবে না।
ফলের চিনি কি রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে?
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ জানান, ফলের মধ্যে ফ্রুক্টোজ থাকে যা লিভার দ্বারা গ্রহণ করা হয় ও গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়ে রক্তে নির্গত হয়।
তাই ফল খেলে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে পারে। তবে যেসব ফলে বেশি ফাইবার থাকে, তা কার্বোহাইড্রেট শোষণকে ধীর করে দেয় ও গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
তাই ডায়াবেটিস রোগীর উচিত অবশ্যই গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ও ফলের গ্লাইসেমিক লোড বিবেচনা করে ফল বাছাই করা।
পরিমিত পরিমাণে আস্ত ফলের ব্যবহার সাধারণত অন্যান্য কার্বোহাইড্রেট উৎস যেমন- জুস, ক্যান্ডি ইত্যাদির চেয়ে ধীরে ধীরে গ্লুকোজের মাত্রাকে প্রভাবিত করবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের কীভাবে ফল খাওয়া উচিত?
‘খালি পেটে ফল খাওয়ার বিষয়ে কিছু পরামর্শ আছে। তবে খাবারের সঙ্গে ফল খেলে আপনি দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণবোধ করবেন। খাবারের আগে বা পরে ফল খাওয়া তাদের পুষ্টির মান কমায় না, বলে জানান ডা.বাক্সি।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কোন ফল ভালো? আর কোনগুলো এড়ানো উচিত?
এ বিষয়ে ডা. বাক্সি জানান, ডায়াবেটিস রোগীরা যেসব ফল পরিমিত খেতে পারবেন সেগুলো হলো- পেঁপে, পেয়ারা, আপেল, কমলা, নাশপাতি, তরমুজ, সমস্ত বেরি (ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরি), চেরি ও অ্যাভোকাডো।
তবে অবশ্যই পরিমাণ ও গ্লাইসেমিক সূচকের উপর নির্ভর করে এখান থেকে ফল বাছাই করে খেতে হবে। ফল থেকে প্রাপ্ত কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ যেন ১৫ গ্রামের বেশি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আবার অবশ্যই ড্রাই ফ্রুটস বা অতিরিক্ত মিষ্টি স্বাদের ফল সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া