প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২২, ১০:২৮
বিতর্কের পর ড্রাগ টেস্টের কথা জানালেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনের পার্টি করার ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর ব্যাপক তোলপাড় চলছে দেশটিতে। ফাঁস হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনি দেশটির কয়েকজন সেলিব্রেটি ও তার বন্ধুদের সঙ্গে নাচছেন ও গান গাইছেন। এই ঘটনার পর বিরোধী নেতারা দাবি করেন তার ড্রাগ টেস্ট করা উচিত। এমন পরিস্থিতিতে সানা মারিন ড্রাগ টেস্ট করার কথা জানালেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে মেরিন জানিয়েছেন, এরই মধ্যে তিনি ড্রাগ টেস্ট করিয়েছেন। টেস্টের ফল আগামী সপ্তাহে আসতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে মেরিন পুনরায় কোনো ধরনের মাদক নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। হেলসিঙ্কিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমি বেআইনি কিছু করিনি।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন সানা মারিন। দায়িত্ব নেওয়ার সময় বিশ্বের সবচেয়ে কনিষ্ঠ সরকার প্রধান ছিলেন তিনি। এখন এই খেতাব চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বরিকের দখলে।
সানা মারিন খুব স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পছন্দ করেন। পার্টি করার কোনো তথ্য গোপন রাখেন না তিনি এবং প্রায়শই সঙ্গীত উৎসবে তাকে দেখা যায়। গত বছর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পর ক্লাবে গিয়ে পার্টি করার কারণে তিনি ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
সম্প্রতি জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ড মারিনকে বিশ্বের আকর্ষণীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিহিত করে।
ফাঁস হওয়া ভিডিও নিয়ে এক মন্তব্যে ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভিডিও করার কথা জানতেন তিনি। কিন্তু ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় হতাশ হয়েছেন তিনি।
দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা রেখে পার্টি করা নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে। তবে ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার একটি পারিবারিক জীবন, একটি কর্মজীবন রয়েছে। বন্ধুদের সঙ্গে কাটানোর মতো সময় আমার আছে। যা আমার বয়সী একজন মানুষের প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আচরণে পরিবর্তন করার কোনও প্রয়োজনীয়তা তিনি অনুভব করছেন না। সানা মারিন বলেন, এখন পর্যন্ত আমি যেমন মানুষ আছি সেটিই থাকবো এবং আশা করি তা গ্রহণযোগ্য হবে সবার কাছে।
এদিকে, বিরোধীদলীয় নেতা রিকা পুরা দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর উচিত স্বেচ্ছায় ড্রাগ টেস্ট করা। কারণ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হচ্ছে।