প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৫, ১৪:৫৪
পাকিস্তানে ট্রেনে জিম্মিদশা, নিরাপত্তা অভিযানে ২৭ সন্ত্রাসী নিহত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের ট্রেনে জিম্মিদশা থেকে দেড় শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত ২৭ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। বেলুচিস্তানের দুর্গম অঞ্চলে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জাফর এক্সপ্রেসে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। সে সময় ট্রেনের চার শতাধিক যাত্রীকে জিম্মি করা হয়।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মীও ছিলেন। কোয়েটা থেকে পেশোয়ারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী ট্রেনে নজিরবিহীন এই হামলার ঘটনা ঘটে। ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, ট্রেনটি থেকে কমপক্ষে ১৫৫ যাত্রীকে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। নিরাপত্তা সূত্রের খবর অনুযায়ী, ট্রেনের নয়টি বগিতে ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়ার পেশোয়ারের দিকে যাচ্ছিল। তখনই এই হামলার ঘটনা ঘটে।
বেশ কিছু নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় আহত ১৭ জনকে কাছাকাছি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, নারী এবং শিশুসহ শতাধিক যাত্রীকে হামলাকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
পাকিস্তানে ট্রেনে এ ধরনের বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা এটাই প্রথম। এর আগে কখনও পুরো ট্রেনে হামলা চালিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করা বা আক্রমণের ঘটনা ঘটেনি।
নিষিদ্ধ ঘোষিত বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে এবং দাবি করেছে যে তারা বিপুল সংখ্যক মানুষকে জিম্মি করেছে।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা ডনকে জানিয়েছেন, পেশোয়ারের উদ্দেশে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় কোয়েটা থেকে ছেড়ে যায়। সে সময় ট্রেনের নয়টি বগিতে ৪৫০ জন যাত্রী ছিল। স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে তারা খবর পায় যে, মুশকাফের কাছে অবস্থিত ৮ নম্বর রেলওয়ে টানেলের কাছে পানীর এবং পেশি রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে ট্রেনটি হামলার শিকার হয়েছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৭ জন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদিকে এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং বিভিন্ন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।