প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২২, ১৫:১৮
যুদ্ধ থামাতে রাশিয়া এবং ইউক্রেন যাচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস চলতি সপ্তাহে মস্কো এবং কিয়েভ সফর করবেন।
এই সফরে তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করবেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া, অবরুদ্ধ শহর মারিওপোলে আটকে পড়া প্রায় ১ লাখ বেসামরিক নাগরিকের জন্যও বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়ছে।
গুতেরেস আগামী মঙ্গলবার মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গেও আলোচনা করবেন তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার গুতেরেস কিয়েভে যাবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার সঙ্গে আলোচনা করতে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র এরি কানেকো নিউইয়র্কে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, উভয় সফরেই গুতেরেস যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং বেসামরিক জনগণকে নিরাপদে সরে যেতে সহায়তা করার জন্য ‘তাৎক্ষণিকভাবে কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে’ সে বিষয়ে আলোচনা করবেন।
গুতেরেস বলেন, ‘তিনি ইউক্রেনে শান্তি আনতে জরুরীভাবে কী করা যেতে পারে সে বিষয়ে কথা বলার আশা করছেন’।
জাতিসংঘের শীর্ষ পদে থাকা অবস্থায় গত পাঁচ বছরের মধ্যে রুশ আক্রমণকে ‘সবচেয়ে দুঃখজনক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন গুতেরেস। অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডের আগে চার দিনের ‘মানবিক যুদ্ধবিরতি’র আবেদন জানিয়েছিলেন গুতেরেস। কিন্তু তার কথায় ইউক্রেন বা রাশিয়া কেউই কান দেয়নি।
ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর গত মার্চ মাসের প্রথমদিকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এক জরুরি অধিবেশনে ১৪১টি দেশ যুদ্ধের নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব সমর্থন করে এবং রাশিয়াকে ‘অবিলম্বে, সম্পূর্ণরূপে এবং নিঃশর্তভাবে’ ইউক্রেন থেকে তার বাহিনী প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জাতিসংঘ মহাসচিব গত ২৬শে মার্চ টেলিফোনে মাত্র একবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন।
আর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জাতিসংঘ মহাসচিবের ফোন কল রিসভ করেননি বা তার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ রাখেননি। কারণ, জাতিসংঘ প্রধান বলেছিলেন, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়ে রাশিয়া জাতিসংঘ সনদ লঙ্ঘন করেছে।
সূত্র: দেশ রূপান্তর