রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে

প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:১৯

যেসব কারণে ‘নাটু নাটু’ গান গোল্ডেন গ্লোব পেয়েছে

যেসব কারণে ‘নাটু নাটু’ গান গোল্ডেন গ্লোব পেয়েছে
অনলাইন ডেস্ক

এস এস রাজামৌলির ‘আরআরআর’ সিনেমা বিশ্বজুড়ে সমাদৃত ও আলোচিত। গোল্ডেন গ্লোবস অ্যাওয়ার্ডসে সেরা সংগীত বিভাগে পুরস্কৃত এই সিনেমার গান ‘নাটু নাটু’। প্রথমবার এশিয়ান গান গোল্ডেন গ্লোব অর্জন করেছে। কিন্তু কি কারণে এই গানটি এত পুরস্কার পেয়েছে তা অনেকেরই অজানা।

রাজামৌলি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, এই গানটিকে তিনি কোনোভাবেই কঠিন স্টেপ দিয়ে বানাতে চাননি। সোজা হুক স্টেপ দিয়ে তৈরি হয়েছে কোরিওগ্রাফি। যাতে দর্শকরা স্টেপগুলো নকল করার চেষ্টা অন্তত করতে পারেন। তার সেই পরিকল্পনা সফল।

সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে এই নাচের সঙ্গে পা মেলানোর চেষ্টা করেছেন অনেকেই। সিগনেচার স্টেপ হিসেবে তৈরি হয়েছিল ১১০টি, যার মধ্যে অনুমোদন পায় মাত্র ৩টি। দুই মাস ধরে কোরিওগ্রাফি করা হয়েছে।

অনেকেই জানেন না, এই গানের শুটিং ভারতে হয়নি। শুটিং হয়েছে ইউক্রেনে। শুধু তা-ই নয়, সে দেশের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির বাসভবনের ঠিক বাইরে ক্যামেরা পেতেছিলেন এস এস রাজামৌলি। জেলেনস্কি নিজে একজন টেলিভিশন অভিনেতা বলে তিনি কোনো আপত্তি জানাননি। তাই শুটিং হয়েছে কোনো বাধা ছাড়াই।

এমন একটি তীব্র বেগের গানের প্রতিটি ছন্দে পা মিলেছে প্রত্যেকের। এতো তীব্র গতিতে পা মেলানো যে সহজ নয়, তা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। সেই প্রসঙ্গে ছবির অভিনেতা জুনিয়র এনটিআর জানিয়েছেন, রাজামৌলি এই বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত খুঁতখুঁতে ছিলেন। প্রত্যেকের পা যেন একই তালে পড়ে, তাতে জোর দিয়েছেন পরিচালক।

গানের ৬-৮ ছন্দ- ‘বাহুবলী’ হোক বা ‘আরআরআর’, রাজামৌলি এবং এম এম কিরাভানির জুটি চিরকাল দর্শকের মন কেড়েছে। এই গান নিয়ে সুরকার বলেন, ‘আমরা ৬-৮ ছন্দে গানটা বানিয়েছি।

আমরা চেয়েছিলাম এই গানের মধ্যে দিয়ে শারীরিক দক্ষতা এবং এনার্জি ফুটিয়ে তুলতে। যেই ছন্দে বানানো হয়েছে, তা খুব একটা সহজ নয়। আর পশ্চিমা দেশে এই ৬-৮ ছন্দে গান বেশি শোনা যায় না। ভারতে এবং আফ্রিকার কোনো কোনো অংশে এই ছন্দ শুনতে পাওয়া যায়। আমার ধারণা, সেটাই ওদের আরও বেশি আকর্ষণ করেছে।’

গানের দৃশ্যায়ন হয়েছে ইউক্রেনে। নাচ হয়েছে ছন্দে। গল্পের মোচড় দুর্দান্ত। সব মিলিয়ে অ্যাকশন প্যাকড সিনেমাটিতে এই গানটি মুক্ত বাতাসের মতো। আর তাকে যেন পর্দায় সুন্দর দেখতে লাগে, তার প্রচেষ্টা ছিল সবার। এর জন্য অনেক ঘাম ঝরাতে হয়েছে। শুটের আগে ৩০ দিন এই নাচটির অনুশীলন করা হয়েছে। ২০ দিন ধরে শুটিং হয়েছে।

কলাকুশলীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার। ১৮টি রিটেক। এনটিআর-এর কথায় জানা যায়, শুটিংয়ের সময়ে প্রতিটি শট রেকর্ড করেছেন নিজে। প্রত্যেক শটের পর শ্যুট থামিয়ে মন দিয়ে দেখেছেন রাজামৌলি, কোথাও যদি মনে হত, পা বা হাত মেলেনি এক চিলতে, অমনি আবার পুরোটা শুট হত। ওই রকম হাই-এনার্জির একটি গান ১৮তম টেকের পর মুখে হাসি ফোটে রাজামৌলির।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়