প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২২, ১৬:১৬
২১ আগস্টের বোমা হামলাকারীদের সুবর্ণা মুস্তাফার ধিক্কার
১৮ বছর আগের আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ঘৃণ্যতম দিন। সেই দিনটির কথা ভেবে দেশের মানুষ আজও কেঁপে ওঠেন। কত শত মানুষ মনের অজান্তেই কাঁদেন। স্বজন হারানোরা খুঁজে ফেরেন প্রিয় মানুষের স্মৃতি।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। একটি ট্রাকে উন্মুক্ত মঞ্চ করা হয়েছিল, সেটিকে ঘিরে বিকেল ৪টা থেকেই দলীয় ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভিড় করছিলেন। পুরো এলাকা জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে মুখরিত ছিল। বিকেল ৫টায় সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। ৫টা ২ মিনিটে মঞ্চে উঠে বক্তব্য শুরু করেন তিনি। টানা ২০ মিনিট বক্তব্য দেন। বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে নিজেই জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে হাতে থাকা একটি কাগজ ভাঁজ করতে করতে মাইক নামাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই শুরু জঘন্যতম সময়ের মুহূর্ত।
মঞ্চের দক্ষিণ পাশ থেকে ছোঁড়া একটি গ্রেনেড একেবারে তার কাছে এসে পড়ে। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় গ্রেনেডটি। মঞ্চ টার্গেট করে দক্ষিণ পাশ থেকে একের পর এক গ্রেনেড হামলা হতে থাকে। মাত্র দেড় মিনিটের ব্যবধানে সমাবেশ স্থলে ১৩টি গ্রেনেডের বিস্ফোরণ হয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে রক্ষায় তৈরি করেন মানব দেয়াল। মঞ্চে এ অবস্থায় থাকেন কিছুক্ষণ। পরিস্থিতি বুঝে বঙ্গমাতার মেয়েকে ট্রাক থেকে নামিয়ে তার বুলেটপ্রুফ মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। ওই গাড়ি লক্ষ্য করেও গুলি ছোঁড়ে হামলাকারীরা। ওই কালোদিনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণ পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে।
আজ রোববার (২১ আগস্ট) সেই রক্তস্নাত ভয়াবহ বিভীষিকাময়, বর্বরোচিত ও বীভৎস হত্যাযজ্ঞের ১৮তম বার্ষিকী। ২০০৪ সালের তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের শাসনামলে এ নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। মূলত আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই এমন পৈশাচিক হামলা চালায় ঘাতকরা।
২১ আগস্টের বোমা হামলাকারীদের ধিক্কার জানিয়েছেন গুণী অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘ধিক্কার জানাই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় যারা জঘন্য বোমা হামলা করেছিল। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পুরো আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। সেদিন মৃত্যুর মুখ থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যান আমাদের প্রাণপ্রিয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। হামলায় নিহত আইভী রহমানসহ সকল শহীদদের স্মরণ করছি এবং আত্মার শান্তি কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’