প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২২, ১৬:২৬
শুটিংয়ে ১০টি করে ডিম খেয়েছি : তুষি
মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘হাওয়া’। মুক্তির আগে থেকেই গানে গানে আলোচিত এই সিনেমা এখন প্রেক্ষাগৃহগুলোতে হাউজফুল যাচ্ছে। পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে অগ্রিম টিকিটও। সিনেমাটির কলাকুশলীদের প্রচারণার শুরু থেকেই দেখা মিলেছে। এর ধারাবাহিকতায় সিনেমা সংশ্লিষ্টরা বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জেলা শহরগুলোর সিনেমা হলগুলোতে যাচ্ছেন।
উত্তাল সমুদ্রের বুকে ‘হাওয়া’ নির্মাণ মোটেই সহজ ছিল না। এই সিনেমা সংশ্লিষ্টদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল ‘হাওয়া’। প্রচারণার উদ্দেশে সোমবার (৯ আগস্ট) অভিনেত্রী নাজিফা তুষিসহ ‘সাদা সাদা কালা কালা’র গায়ক ও অভিনেতা শিবলীসহ পুরো হাওয়া সিনেমার টিম গিয়েছিল ময়মনসিংহ ছায়াবাণী সিনেমা হলে। সেখানে গিয়ে তারা গান গেয়েছেন এবং দর্শকদের সঙ্গে সিনেমা দেখেছেন। তারপর তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
‘হাওয়া’ সিনেমার অভিনেত্রী নাজিফা তুষি বলেন, ‘আমি এই সিনেমাটিতে অভিনয় করতে পেরে আমি খুব লাকি। যারা সিনেমা হলে আসেনা তারা যে হলমুখি হয়েছে এইটা খুব ভালো লাগছে। বিশেষ করে আমাদের সিনেমা দিয়ে যে হলে আসা শুরু করেছে এটা খুব ভালো লাগছে।
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে নানা বিষয় তিনি সাংবাদকিদের বলেন, “আসলে হাওয়া সিনেমার শুটিংয়ে আসলে পুরোটাই মজা ছিল। যদি শেয়ার করতেই হয় তাহলে মজার একটা ব্যাপার শেয়ার করা যায়। শুটিংয়ে আমি ১০টা করে ডিম খেয়েছি। আর এটা নিয়ে খুব হাসাহাসি হয়েছে টিমের মধ্যে।”
২৯ জুলাই মুক্তি পাওয়া ‘হাওয়া’ সিনেমাটি ময়মনসিংহে দ্বিতীয় সপ্তাহেও দর্শকপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকে ময়মনসিংহের ছায়াবাণী সিনেমা হল আবারও জাকজমকপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এখনও সিনেমাটি দেখতে দর্শক হলে ভীড় জমাচ্ছেন।
গভীর সমুদ্রে নির্মিত ও জেলেদের জীবনের গল্প নিয়ে ভিন্ন স্বাদের সিনেমাটি দর্শকদের আকৃষ্ট করেছে। বিশেষ করে চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ, নাফিজা তুষিসহ সিনেমার কলাকুশলীদের অভিনয় দক্ষতা দর্শকদের মুগ্ধ করেছে বলে জানান কয়েকজন দর্শক। তারা বলেন, এমন ভিন্ন ধরনের গল্প, সামাজিক ও পারিবারিক ভালো সিনেমা নির্মিত হলে দর্শক আবারো হলমুখি হবে। বড় পর্দায় সিনেমা দেখার যুগ পুনরায় ফিরে আসবে।
ময়মনসিংহের ছায়াবানী সিনেমা হলের ম্যানেজার জানান, ‘হাওয়া’ প্রথম সপ্তাহ খুব ভালো চলেছে। প্রথম তিনদিনের টিকেট অগ্রীম বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। হাউসফুল গেছে অনেকগুলো শো। দ্বিতীয় সপ্তাহেও প্রথম ২ দিন প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ হয়েছে। এখন পর্যন্ত দর্শকদের ভীড় রয়েছে। তবে এমন সিনেমা তৈরী হলে হলগুলো আবার প্রাণ ফিরে পাবে।’