প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২২, ০৮:৪৭
এক বছরে সুইস ব্যাংকে ৩ হাজার কোটি টাকা বাড়লো বাংলাদেশিদের
এক বছরের ব্যবধানে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকা বেড়েছে। যার পরিমাণ প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। এর আগে এক বছরে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে এত টাকা রাখার নজির নেই বাংলাদেশিদের।
সম্প্রতি সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। এতে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে গচ্ছিত বিদেশিদের টাকার পরিমাণ প্রকাশ করা হয়। যাতে রয়েছে বাংলাদেশেও।
সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসএনবি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ দেশটির ব্যাংকে জমিয়েছেন বাংলাদেশিরা। অর্থাৎ আট হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা (প্রতি ফ্রাঁ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯৫ দশমিক ৭০ টাকা ধরে)।
এর আগে ২০২০ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ ছিল ৫৬ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় পাঁচ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকার মতো।
অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আরও দুই হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা গচ্ছিত হয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থ ছিল ৬০ কোটি ৩০ লাখ ২২ হাজার সুইস ফ্রাঁ। আর ২০১৮ সালে ৬১ কোটি ৭৭ লাখ সুইস ফ্রাঁ ছিল।
এই তথ্য এমন এক সময় প্রকাশ হলো, যখন বাংলাদেশে অর্থপাচার নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। সরকারও এসব পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এই অবস্থায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও এসব অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে সুযোগ দিচ্ছে সরকার।
এদিকে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে তথ্য দিয়েছে এতে বাংলাদেশিদের টাকার পরিমাণ বলা হলেও পাচার সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয়নি। এমনকি সুইস ব্যাংকে কার কত টাকা আছে, তাও উল্লেখ করেনি।
সুইজারল্যান্ডের আইন অনুযায়ী দেশটির ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য নয়। ফলে এর সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা তাদের অর্থ সুইস ব্যাংকগুলোতে জমা রাখেন।
এদিকে বাংলাদেশিদের মতো ভারতীয়দেরও সুইস ব্যাংকে অর্থের পরিমাণ বেড়ে ৩৮৩ কোটি সুইস ফ্রাঁ হয়েছে।
বিশ্বের মধ্যে সুইস ব্যাংকগুলোতে জমা রাখা অর্থের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি যুক্তরাজ্যের ৩৭৯ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ। এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ১৬৮ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ।
এছাড়া তালিকার শীর্ষ ১০ এ থাকা অন্য দেশগুলো হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জার্মানি, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, হংকং, লুক্সেমবার্গ, বাহামাস, নেদারল্যান্ডস ও কেম্যান।