প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৪০
‘চারদিনে দাম বাড়িয়েছেন, চারদিনেই কমাবেন’
আগামী চারদিনের মধ্যে চালের দাম কমিয়ে আনতে ব্যবসায়ীদের আল্টিমেটাম দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এ সময়ের মধ্যে দাম না কমালে আইন অনুযায়ী কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার খাদ্য অধিদপ্তরে চালকল মালিক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সভায় এসময় বেধে দেন মন্ত্রী।
চাল ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে যখন সরকার ব্যস্ত, তখন চারদিনের মধ্যে দেশের বাজারে চালের দাম ৬ টাকা বাড়িয়েছেন। এখন আগামী চারদিনের মধ্যে এ দাম কমিয়ে আনবেন।
মন্ত্রী বলেন, ওই সময় আপনারা লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়িয়েছেন। এখন সেভাবেই কমাবেন। না হলে আইন অনুযায়ী কঠিন ব্যবস্থা নেবো। কারণ এ দামবৃদ্ধি পুরোটাই অযৌক্তিক। দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই, আমনের ভরা মৌসুমে।
দাম বাড়ানোর পেছনে ব্যবসায়ীদের যুক্তি গ্রহণীয় নয় উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ভরা মৌসুমে চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে ব্যবসায়ীরা যে যুক্তি দিচ্ছেন, তা আমরা মানতে পারছি না। হঠাৎ করে তারা সরকার গঠনের সময় অস্বাভাবিকভাবে চালের দাম বাড়িয়েছে। তাদের এ অনৈতিক কাজ মেনে নেওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা চাল মজুত করছে। কিছু ব্যবসায়ীদের শুধু মুনাফার প্রবণতা। তাদের যদি বিবেক না থাকে, সততা না থাকে তাহলে বড় সমস্যা। চারদিনে ছয় টাকা দাম বাড়ানো কোনোভাবেই হয় না। এটা লোভে পরিণত হয়েছে।
এসময় ব্যবসায়ীদের তিনি চারদিনের মধ্যে দাম কমাতে পারবেন কি না প্রশ্ন করেন। এরপর ব্যবসায়ীরা খাদ্যমন্ত্রীকে চারদিনের মধ্যে দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর মন্ত্রী বলেন, এ প্রতিশ্রুতি যেন ঠিক থাকে।
তিনি বলেন, এখন যারা ধান-চাল বিনা লাইসেন্সে মজুত করেছেন, আমরা তাদের ধরবো। এরই মধ্যে সে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মজুতদার আমার বাবা হলেও ছাড় দেওয়া হবে না।
এসময় খাদ্যমন্ত্রী বিভাগ ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, কাল থেকে মাঠে নামুন। ফুডগ্রেড লাইসেন্স ছাড়া যেন কেউ ব্যবসা না করতে পারে। সব মজুতদারদের অবৈধ মজুত ধরে সরকারি গোডাউনে নিয়ে আসেন। অবৈধ মজুত হলে সেই মিল বা গুদাম সিলগালা করে দেন।
মন্ত্রী বলেন, সবাইকে নিজের বিবেক, কর্তব্যবোধ ও ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, এসব কিছুর পরও চালের দাম না কমলে আমরা চাল আমদানি করবো। প্রয়োজনে সরকারিভাবে আমদানি করবো। শূন্য শুল্কে চাল আমদানির জন্য আমাদের এনবিআরের সঙ্গে কথা চলছে।