প্রকাশ : ১৮ মে ২০২২, ১২:৫৮
শরীয়তপুরে বনবিড়ালের ৫টি ছানা উদ্ধার
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের দেওয়ানকান্দি গ্রাম থেকে বনবিড়ালের পাঁচটি ছানা উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দেওয়ানকান্দি গ্রামের একটি ঘাসের জমি থেকে ছানাগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা বন বিভাগ সেগুলো অবমুক্ত করে।
জাজিরা বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের দেওয়ানকান্দি গ্রামের ঘাসের জমিতে সম্প্রতি একটি বনবিড়ালের পাঁচটি ছানা হয়। কৃষক লালন মাদবর নামের এক ব্যক্তি মঙ্গলবার সকালে ওই জমিতে ঘাস কাটতে গেলে মা বনবিড়াল ক্ষিপ্ত হয়ে তেড়ে আসলে লালন চিৎকার করে।
চিৎকার শুনে স্থানীরা ছুটে আসলে মা বনবিড়ালটি পালিয়ে যায়। পরে স্থানীরা বনবিড়ালের ছানাগুলো উদ্ধার করেন। রাতে কৃষক লালন সাইকেলে করে উপজেলা বন বিভাগে নিয়ে আসেন ছানাগুলো। পরে ছানাগুলো যেখান থেকে উদ্ধার করে কাছাকাছি জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. আতিকুর রহমান বনবিড়াল শাবকগুলোর প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। ছানাগুলো পুরোপুরি সুস্থ আছে বলে জানান তিনি।
ডা. আতিকুর রহমান বলেন, সাধারণত বনবিড়াল দিনের বেলায় কিছু খায় না। তাই আলাদা কোনো খাবারের প্রয়োজন হয়নি। বাচ্চাগুলোর বয়স খুবই কম তাই দ্রুত মা বনবিড়ালটির কাছাকাছি ছানাগুলোকে অবমুক্ত করা হয়।
জাজিরা উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. এনামুল হক বলেন, বনবিড়ালের খাবারের বড় অংশই হচ্ছে ঘাসফড়িং-জাতীয় পোকা ও ইঁদুর। যেগুলো ক্ষেতখামারে থাকে এবং ফসলের ক্ষতিসাধন করে। তাই বনবিড়াল গৃহপালিত মুরগি-কবুতর ধরে নিয়ে খেয়ে যতটুকু ক্ষতি করে, তার চেয়ে অনেক বেশি উপকার সাধন করে থাকে। এরা নিশাচর। গাছে উঠে রাতের আঁধারে ছোট পাখি বা পাখির ডিম, ছানা প্রভৃতি শিকার করে খায়। এক লাফে কয়েক ফুট যেতে পারে। দিনের বেলায় এরা লতাপাতায় ঘেরা বড় গাছের কোটরে ঘুমায় বা তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকে। প্রজনন মৌসুমে গাছের কোটরে ও ঘাসের ভেতর দুই থেকে পাঁচটি ছানা প্রসব করে।
তিনি বলেন, বনবিড়াল পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। এসব প্রাণী এখন প্রায় বিলুপ্ত হতে চলছে। এদের সংরক্ষণ করা জরুরি। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে বন্য প্রাণী নিয়ে সচেতনতামূলক কথা বলেন তিনি।
সূত্র: দেশ রূপান্তর