প্রকাশ : ০৮ মে ২০২২, ০৯:১১
বঙ্গবন্ধু জাতের ধানে প্রতি একরে ফলন ৮৫ মণ
বিস্তীর্ণ মাঠে বাতাসে দোল খাচ্ছে নতুন বঙ্গবন্ধু জাতের পাকা ধান। আগাম জাতের এ ধান পেকে যাওয়ায় কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। কম্বাইন হার্ভেস্টারে ধান কাটা, মাড়াই ও বস্তায় ভরা হচ্ছে।
এ বছর ইরি-বোরো মৌসুমের দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বড় বৈদ্যনাথপুর এলাকায় ব্রি-১০০ (বঙ্গবন্ধু) জাতের ধানের বীজ উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে ৫০ একর জমিতে এ ধান আবাদ করেছেন কৃষক মতিউর রহমান মতি। প্রথমবারই এ ধান চাষে সাফল্য পাওয়া গেছে। প্রতি একরে ফলন হয়েছে প্রায় ৮৫ মণ ধান।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, গোড়া শক্ত হওয়ায় প্রতিটি ধানের গাছ জমিতে দাঁড়িয়ে আছে। বিএডিসি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কম্বাইন হার্ভেস্টারে এ নতুন জাতের ধান কাটা, মাড়াই ও বস্তাবন্দি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন চাষি মতিউর রহমান। এ ধানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। জিংক সমৃদ্ধ হওয়ায় মানবদেহে জিংক-এর চাহিদা পূরণ হবে বলেও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ব্রি-২৮ ধানের চেয়ে এ ধানের উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি হওয়ায় আগামী বছর এর চাষ ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে।
চাষি মতিউর রহমান বলেন, নতুন ব্রি-১০০ (বঙ্গবন্ধু) জাতের ধানের বীজ থেকে ১৪৫ দিনের মধ্যে ১ একর জমিতে ৮৫ মণ ধান হয়েছে। যা ব্রি-২৮ জাতের ধানের চেয়ে বেশি। আগামী ইরি-বোরো মৌসুমে এ নতুন জাতের ধান চাষ করে কৃষকরা লাভবান হবে।
বিএডিসি’র যুগ্ম পরিচালক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ৫০ একর জমিতে চাষের জন্য নতুন ব্রি-১০০ (বঙ্গবন্ধু) জাতের ধানের বীজ মতিউর রহমানকে সরবরাহ করা হয়েছিল। তাকে বিভিন্ন পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে । এ ধানের ফলন অনেক বেশি। এ ধান জিংক সমৃদ্ধ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকায় কীটনাশকের প্রয়োজন নেই।
বিএডিসি’র উপ পরিচালক কামরুজ্জামান বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ব্রি-১০০ (বঙ্গবন্ধু) জাতের ধানের বীজের উদ্ভাবন করেছে বিএডিসি। কৃষকদের মাঝে আমরা সেই বীজ সরবরাহ করেছিলাম, যা থেকে ধান উৎপাদিত হয়েছে। শিগগিরই সারাদেশে নতুন এ জাতের ধানের চাষ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হবে। এতে কৃষকরা লাভবান হবেন।